মাদক নিতেন সুশান্ত! NCB জেরায় বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি শ্রদ্ধার, ফাঁস ড্রাগ চ্যাট

মাদক নিতেন সুশান্ত! NCB জেরায় বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি শ্রদ্ধার, ফাঁস ড্রাগ চ্যাট

মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্তে মাদক যোগ মেলার পর থেকে ঘটে চলেছে একের পর এক নাটকীয় পরিবর্তন৷ বলিউডে মাদক চক্রের জাল ছড়িয়েছে বহু দূর৷ মাদক চক্রে নাম জড়িয়েছে দীপিকা পাডুকোন, শ্রদ্ধা কাপুর, সারা আলি খান এবং রকুল প্রীত সিং-এর মতো প্রথম সারির নায়িকাদের৷ শনিবার নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর দফতরে হাজিরা দেন শ্রদ্ধা ও সারা৷ অন্যদিকে এনসিবি’র গেস্ট হাউজে জেরা চলছে দীপিকার৷  

আরও পড়ুন- মাদক মামলায় গ্রেফতার করণ জোহরের ‘ডানহাত’ ক্ষিতিজ! এবার কী পরিচালকের পালা?

KWAN ট্যালেন্ট ম্যামেজমেন্ট কোম্পানির কর্মী জয়া সাহার সঙ্গে শ্রদ্ধা কাপুরের হোয়াটঅ্যাপ চ্যাটের সূত্র ধরেই এদিন ডেকে পাঠানো হয় অভিনেত্রীকে৷ ফাঁস হওয়া ওই চ্যাটে সিবিডি অয়েল নিয়ে কথা বলতে দেখা যায় তাঁদের৷ জয়াকে সিবিডি ওয়েল জোগাড় করে দিতে বলেছিলেন শ্রদ্ধা৷ কিন্তু এদিন এনসিবি অফিসারদের সামনে মাদক সেবনের কথা অস্বীকার করেন অভিনেত্রী৷ তদন্তকারী অফিসারদের শ্রদ্ধা বলেন, ‘ছিছোড়ে’ ছবিতে সুশান্ত সিং রাজপুতের বিপরীতে নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি৷ ওই ছবি মুক্তি পাওয়ার পর পবন ফার্ম হাউজে একটা পার্টি হয়েছিল৷ আমরা দুপুর ৩টে নাগাদ সেখানে পৌঁছই৷ মধ্যাহ্ন ভোজের পর বোটে করে ওই দ্বীপে পৌঁছই, ওখানেই পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল৷ মাঝ রাত পর্যন্ত পার্টি চলেছিল৷ সেখানে অনেকেই ড্রাগ নিচ্ছিল৷ কিন্তু আমি ওই পার্টিতে ড্রাগ নিইনি৷’’ তিনি আরও জানান, ওই পার্টিতে কিছু অচেনা এবং অদ্ভুত মানুষ এসেছিল৷ যাঁরা সবাই মাদক নিচ্ছিলেন। সুশান্তও তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। ওই লোকগুলোকে তিনি দেখলে চিনতে পারবেন বলেও জানান শ্রদ্ধা৷ 

আরও পড়ুন- NCB-র জেরার মুখোমুখি দীপিকা-শ্রদ্ধা-সারা, কীভাবে চলছে ম্যারাথন জেরা?

জেরার মুখে আরও কিছু চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন শ্রদ্ধা কাপুর৷ তিনি জানান, ” ছিছোড়ে ছবির শ্যুটিংয়ে সুশান্তকে কখনও মেক-আপ ভ্যানে, কখনও বা শ্যুটিং ফ্লোরে ড্রাগ নিতে দেখেছেন তিনি। ” এদিকে জয়ার সঙ্গে শ্রদ্ধার যে ড্রাগ চ্যাট এনসিবি অফিসারদের হাতে এসেছে সে প্রসঙ্গে এখনও স্পষ্ট করে কোনও উত্তর মেলেনি শ্রদ্ধার থেকে৷  এনসিবি অফিসে এখনও জেরা করা হচ্ছে তাঁকে৷ জানা গিয়েছে, এনসিবি জোনাল অফিসে তিন মহিলা অফিসার সহ মোট ছয় জন জেরা করছেন শ্রদ্ধাকে৷ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করার আগে বাইরের কেবিনে মোবাইল ফোন জমা রাখতে বলা হয় শ্রদ্ধাকে৷ এর পরই শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ৷ তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 + 9 =