Sea level rising
গ্লোবাল ওয়ার্মিং, বা বিশ্ব উষ্ণায়ন, আধুনিক যুগের অন্যতম গুরুতর পরিবেশগত সমস্যা। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মানবজাতির সামনে একটি মারাত্মক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে সমুদ্রের জলস্তর৷ আজ থেকে ৫০০ বছর পর পৃথিবীর পরিণতি কী হতে চলেছে, তা বিজ্ঞানীদের ভাবিয়ে তুলেছে৷ শেষের শুরু দেখতে শুরু করেছেন তাঁরা৷ (Climate change impact)
Climate change impact
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২৫০০ সালে পৌঁছনোর পর দেখা যাবে পৃথিবীর দুই মেরু বরফ শূন্য হয়ে গিয়েছে৷ সমুদ্রের জলস্তর বেড়েছে গিয়েছে প্রায় ৭৬০০ মিটার৷ চারিদিকে শুধু নীল জল৷ প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বদলে যাবে মানব জীবন৷ সেই সময় জলের উপর ভেসে থাকা জীবনে কাল্পনিক হয়ে দাঁড়াবে ‘ডাঙা’ শব্দটি৷
Global warming predictions
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ উভয় মেরুতেই ব্যাপক ভাবে বরফের গলন শুরু হয়েছে। যা সমুদ্রে জলস্ফীতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ যদিও পৃথিবীর ভবিষ্যৎ কী হতে পারে, তা নিয়ে অনেক দিন আগে থেকেই কল্পনা করতে শুরু করেছিল মানুষ৷ ১৯৯৫ সালে গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর প্রভাব নিয়ে হয়েছিল ‘ওয়াটারওয়ার্ল্ড’৷ সেই কল্পবিজ্ঞানই যেন বাস্তবের রূপ নিতে চলেছে৷
Environmental crisis
গত তিন দশকে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রায় যে পরিবর্তন এসেছে, গত আড়াই হাজার বছরে তার নজির নেই বলেই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা৷ প্রতি ঘণ্টায় গ্রিনল্যান্ড আইস শিটে ৩০ মিলিয়ন টন করে বরফ গলে যাচ্ছে৷ ১৯৯৩ থেকে ২০২৪- এই ৩০ বছরে সমুদ্রের জলস্তরের উচ্চতা বেড়েছে প্রায় ১০ সেন্টিমিটার৷ গ্লোবাল ওয়ার্মিং ও তার প্রভাব সম্পর্কে গত কয়েক মাসে একাধিক সেমিনারে বিজ্ঞানীরা যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাতে ফুটে উঠেছে ‘শেষের ছবি’৷
Global warming
১৮৮০ সাল থেকে তাপমাত্রার রেকর্ড রাখতে শুরু করেন বিজ্ঞানীরা৷ ১৮৮০ সাল থেকে শুরু হয় সমু্দ্রের জলস্তরের ডেটা সংরক্ষণের কাজ৷ একেবারে শুরুতেই দুটি বিষয় বিজ্ঞানীদের নজর কেড়েছিল৷ প্রথমত- বিশ্বের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি৷ দ্বিতীয়ত- তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে জলস্তর উচ্চতা৷ বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছে, যদি শুধুমাত্র দক্ষিণ মেরুর থোয়েটস হিমবাহ গলে যায়, তাহলেই সমুদ্রের জলস্তর ৩ মিটার বেড়ে যাবে৷ তাঁদের ভবিষ্যদ্বাণী- বর্তমান যা পরিস্থিত, যে ভাবে বরফ গলছে, তাতে সব কিছু ঠিক করে ফেলা মোটেও সহজ কাজ নয়৷
Global warming effects
জলস্তর বৃদ্ধির বিষয়টি উদ্বেগজনক হলেও, এই বিষয়ে সম্পূর্ণ নতুন একটি আঙ্গিক তুলে ধরেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ববিদ্যর অধ্যাপক এবং সমুদ্র বিজ্ঞানী সুগত হাজরা৷ তিনি বলেন, এর আগেও জলস্তর বেড়েছে৷ সেটি প্রকৃতি সামলেও নিয়েছে৷ তবে আমরা দেখছি এখন সমুদ্রের ৭০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত গরম থাকছে৷ যা অত্যন্ত বিপজ্জনক৷ ওই সমস্যা সমাধানের ‘ওয়ে আউট’ খুঁজে পাওয়াই চ্যালেঞ্জ৷
Environmental impact
সুন্দরবন নিয়েও আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন তিনি৷ সুগত হাজরা বলেন, একদিকে জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে বসে যাচ্ছে সুন্দরবনের মাটি৷ ফলে পশ্চিমবাংলার এই ব-দ্বীপ অঞ্চল জোড়া বিপদের সম্মুখীন৷
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পূর্ণবসু চৌধুরীর কথায়, এবার সকলকে সচেতন হতে হবে৷ গ্রিন হাউস গ্যাসের ব্যবহার কমানোর দায়িত্ব নিতে হবে সকলকে৷
আরও পড়ুন-
রহস্যময় বস্তু বিপুল বেগে ধেয়ে আসছে! মহাপ্রলয়ের মুখে পৃথিবী?
দুর্যোগ রুখতে অবশেষে নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র! আসছে ‘গ্রিন প্রোটেকশন’ সিস্টেম
মারাত্মক বিপদের মুখে ভারত! টাল খেয়ে গেছে পৃথিবী
এ তো সাক্ষাৎ যম! দিল্লি থেকে সৌদি আরব, তাপদাহে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত
মারাত্মক বিপদের মুখে ভারত! টাল খেয়ে গেছে পৃথিবী
Environment: The melting polar ice caps are causing sea levels to rise, signaling a potential environmental crisis. Learn about the alarming future predictions for 2500, the impact on the Sundarbans, and the urgent need to reduce greenhouse gas emissions.