নিজস্ব প্রতিনিধি: ২৫-মে ষষ্ঠ দফায় দিল্লির সাতটি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হবে। যেখানে আসন সমঝোতার ভিত্তিতে তিনটিতে কংগ্রেস ও চারটিতে আম আদমি পার্টি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তার আগে বেশ অস্বস্তি বাড়ল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল তথা আম আদমি পার্টির। কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে এনআইএ তদন্তের সুপারিশ জমা পড়ল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে। কোন অভিযোগের ভিত্তিতে এই তদন্তের সুপারিশ করা হয়েছে? নিষিদ্ধ খলিস্তানি সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’-এর কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ সাহায্য নিয়েছেন কেজরিওয়াল, এই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁর বিরুদ্ধে এনআইএ তদন্তের সুপারিশ করেছেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দিয়েছেন সাক্সেনা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর মোবাইল, ল্যাপটপ-সহ বিভিন্ন সামগ্রীর ফরেনসিক পরীক্ষার দাবি করেছেন তিনি।
কয়েক মাস আগেই চাঞ্চল্যকর দাবি করেন খালিস্তানি নেতা গুরুপতবন্ত সিং পান্নুন। পান্নুনের দাবি জঙ্গি মুক্তির শর্তে তাঁদের কাছ থেকে ১৩৪ কোটি টাকা নিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ‘শিখস ফর জাস্টিস’-এর প্রধান পান্নুন ভিডিও বার্তায় এমনটাই দাবি করেন। পান্নুনের দাবি ১৯৯৩ সালে ধৃত এক খলিস্তানি জঙ্গিকে দিল্লি থেকে ছেড়ে দিতে হবে, এই শর্তে নাকি রাজি হয়েছিল আপ। এরপর শর্ত অনুযায়ী ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আট বছরে আম আদমি পার্টির তহবিলে প্রায় ১৩৪ কোটি টাকা অর্থ সাহায্য করা হয়েছে তাঁদের তরফে। পান্নুন দাবি করেছেন, ১৯৯৩ সালে দিল্লি বিস্ফোরণ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত দেবেন্দ্র পাল সিংহ ভুল্লারকে নাকি ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আম আদমি পার্টির সরকার। যদিও এই বক্তব্যের বিরোধিতা করছেন আপ নেতৃত্ব।
বর্তমানে বেশ গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে জেলে রয়েছেন কেজরিওয়াল। শত চেষ্টা করেও জামিন পাচ্ছেন না তিনি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জেলে থাকা অবস্থাতেই আম আদমি পার্টিকে লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করতে হচ্ছে। এমনটা যে হতে পারে সেটা দলীয় নেতৃত্ব ভাবতেও পারেননি। এই পরিস্থিতিতে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে এনআইএ তদন্তের সুপারিশ করলেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর। তাই বিষয়টি আগামী দিনে কোন দিকে গড়ায় এখন সেটাই দেখার।