বড়শিতে উঠল বিরল প্রতাজির মাছ, বিকট রূপ দেখে তাজ্জব গোটা গ্রাম

বড়শিতে উঠল বিরল প্রতাজির মাছ, বিকট রূপ দেখে তাজ্জব গোটা গ্রাম

কলকাতা: মাছ ধরা নেশা তাঁর৷ সময় পেলেই বড়শি হাতে চলে যান গঙ্গার পাড়ে৷ এদিনও মাছ ধরতে গিয়েছিলেন শান্তিপুর ফুলিয়ার চটকা তলার বাসিন্দা তপন বসাক৷ ছিপ ফেলে বসে ছিলেন মাছের আশায়। উঠলও মাছ। কিন্তু এ কী! এ কেমন মাছ? এমন মাছ তো কেউ কখনও দেখেনি৷ অদ্ভূতদর্শন এই বিরল প্রজাতির মাছ দেখে খানিকটা ভয় পেয়ে যান তপনবাবুও। তবুও সেটিকে সঙ্গে করে বাড়িতে নিয়ে আসেন৷ আর সেই মাছ দেখতেই উপচে পড়ে গোটা গ্রাম৷ 

আরও পড়ুন- মমতাকে গণতান্ত্রিক পথে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব, সৌজন্য ছেড়ে সংঘাতের পথে শুভেন্দু

তপনবাবু পেশায় তাঁত শিল্পী৷ কাজের ফাঁকে সময় পেলেই বড়শি নিয়ে মাছ ধরতে চলে যান গঙ্গায়৷ মাছ ধরাই তাঁর সখ৷  দিন কয়েক আগে ফুলিয়ার তারাপুর বাজারে গঙ্গায় মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তিনি৷ সেই সময়ই তাঁর বড়শিতে ধরা পড়ে বিরল প্রজাতির এই মাছ৷ দেখামাত্রই তাঁর চক্ষু চরকগাছ৷ তড়িঘড়ি মাছটিকে নিয়ে বাড়ি চলে আসেন তখনবাবু৷ বাড়ির সদস্যরাও একেবারে তাজ্জব৷ কারণ এতদিন ধরে তাঁরা মাছ ধরছেন, এমন মাছের দেখা আগে কখনও পাননি৷ এই মাছটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল, মাথার নিচের অংশে রয়েছে এর মুখ৷ সারা গা সাদা-কালো আঁকাবাঁকা ডোরা৷ দেখতে ভয়ঙ্কর৷ যা দেখে আরও অবাক গ্রামের মানুষ৷  বিরল প্রজাতির এই মাছটিকে চাক্ষুষ করতে প্রতিনিয়ত মানুষের আনাগোনা বসাক বাড়িতে। এমন একটি মাছ ধরতে পেরে বেশ খুশিই তপনবাবু৷ তবে এই মাছ তো আর খাওয়া যায় না৷ ঘরে রেখেই বা কী করবেন! তাই ঠিক করেছেন, ফের মাছটিকে গঙ্গায় ছেড়ে দিয়ে আসবেন। 

তপনবাবু জানান, বুধবার তারাপুরের গঙ্গায় মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁত বোনার ফাঁকে মাছ ধরাটাই তাঁর অভ্যাস। এর আগে বিভিন্ন ধরণের মাছ ধরেছেন। ধরেছেন চিংড়িও৷ কিন্তু এমন মাছ ধরে খানিকটা ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। যে দিন মাছটি ধরেছিলেন, সেদিন রাত ১১টা পর্যন্ত মানুষের ভিড় ছিল তাঁর বাড়িতে৷ তবে আর নয়৷ এবার জলের মাছ জলেই ছেড়ে আসতে চান তিনি৷ এমনটাই জানালেন তপনবাবু৷ 

তাঁর মা মায়া বসাক বলেন, ‘‘আমি আর আমার ছেলে বহু মাছ ধরি৷ তবে কোনও দিন এমন মাছ দেখিনি৷ দেখেই ভয় ধরে গিয়েছিল৷ সকলে এই মাছ দেখতে আসছে৷ ছবি তুলে নিয়ে যাচ্ছে৷’’ তপনবাবুর বাবা বলেন, আমার ছেলে যে মাছটা ধরে এনেছে, ‘‘সেটাকে দেখে চিনতে পারছি না৷ অবাক হয়ে গিয়েছি৷ কেউই বুঝতে পারছে না এটা কী মাছ৷ তবে এটাকে গঙ্গায় ছেড়ে দিয়ে আসা হবে৷ না হলে বাঁচবে না৷ ’’