কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাট নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে৷ কেন বারবার সমস্যার সম্মুখীন হবে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান? জবাব চেয়ে এদিন কেন্দ্রের কাছে হলফনামা তলব করল আদালত৷ পাশাপাশি মামলার শুনানির সময় আবেদনকারীর আইনজীবী ফিরোজ এদুলজি বলেন, এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এর প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী বিল্লোদ্বল ভট্টাচার্য আদালতকে জানান, এই বিষয়ে নির্দিষ্ট বিভাগ থেকে ইনস্ট্রাকশন নিতে হবে। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলও বিষয়টি নিয়ে ইনস্ট্রাকশন নেবেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাট নিয়ে কেন্দ্রকে হলফনামা জমা দেয়ার নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ২৫ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- পুলিশ থেকেও নেই, বহিরাগতদের তাণ্ডব রুখতে হাতে লাঠি তুলে নিলেন বাসিন্দারা
গত মাসে অখিলেশ যাদবের হয়ে বারাণসীতে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নির্বাচনী প্রচার সেরে কলকাতা ফেরার বিমানে ওঠেন তিনি৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বক্ষণের নিরাপত্তা আধিকারিকরা। দমদম বিমানবন্দরেবি মানটি অবতরণের আগে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি অনুভূত হয়। দু’দিকে দুলতে দুলতে বিমানটি নীচে নেমে আসতে থাকে। এক নিমেষে প্রায় ১০০ মিটার নীচে নেমে আসে বিমানটি। এই ঘটনার পর ডিজিসিএ-কে চার দেয় রাজ্য সরকার। ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত শুরু করা হয়। রিপোর্টে বলা হয়, খারাপ আবহাওয়ার জন্য এটিসি’র অনুমতি নিয়েই বিমানটিকে নিচে নামিয়ে এনেছিলেন পাইলট৷
অন্য দিকে বিধামসভায় মুখ্যমন্ত্রীর দাবি করেন, খারাপ আবহাওয়া নয়, তাঁর বিমানটির সামনে অন্য একটি বিমান এসে গিয়েছিল। পাইলট দক্ষতার সঙ্গে বিমানটি নামিয়ে আনায় অল্পের জন্য রক্ষা পয়েছেন। ১০ সেকেন্ডের জন্য বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>