‘আন্ডার নতুন ফান্ডা’, হলুদ নয় এখানে মুরগি দেয় সবুজ কুসুমের ডিম!

‘আন্ডার নতুন ফান্ডা’, হলুদ নয় এখানে মুরগি দেয় সবুজ কুসুমের ডিম!

তিরুবনন্তপুরম: সভ্যতার জন্মলগ্ন থেকেই একটি ‘জটিল ধাঁধায়’ আটকে মানব জীবন৷ যে ধাঁধার সমাধান হয়নি আজও৷ একটা প্রশ্ন যেন চুম্বকের মতো আমাদের জীবনের সঙ্গে আটকে গিয়েছে৷ আর সেটা হল, ডিম আগে এসেছে না মুরগি? এই প্রশ্নের উত্তর আজও মেলেনি৷ সবাই যখন জবাব হাতড়ে বেরাচ্ছে, তখন ‘আন্ডার নতুন ফান্ডা’ নিয়ে হাজির কর্ণাটকের এই ব্যক্তি৷ ডিম ফাটতেই চমক৷ এ কী?  

আরও পড়ুন- বাইক চালাতে চালাতেই গোপনাঙ্গে হাত! ব়্যাপিডো চালকের বিরুদ্ধে FIR দায়ের মডেলের

ডিমের নতুন রহস্যের সন্ধান মিলল কেরলের মালাপ্পুরমের একটি গ্রামে৷ এখানকার বাসিন্দা এ.কে শিসাবুদ্দিনের মুরগি দেয় সবুজ ডিম! কিন্তু এই সবুজ ডিমের রহস্য কী? শিসাবুদ্দিন জানান, প্রায় এক বছর আগে প্রথম সবুজ ডিম পান তিনি৷ প্রথমে মনে হয়েছিল সবুজ কুসুমের এই ডিম বুঝি নষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ বাচ্চা থেকে বুড়ে, সবাই এই ডিম খেতে নিমরাজি৷ এহেন ডিম দেখেই বাচ্চাদের মুখ ব্যাজার৷ সবুজ ডিম দেখে চোখ ছানাবড়া বড়দের৷ কিন্তু লাগাতার এমন ডিম পাওয়ার পর তা ভালো করে পরীক্ষা নীরিক্ষা করে দেখেন শিসাবুদ্দিন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা দেখি ডিমের ভিতরের কুসুম একদম টাটকা৷ ডিম একদম ঠিকঠাক৷ কোনও পচন নেই৷ এর পরই আমরা তা টেস্ট করে দেখে৷ সবুজ ডিম বেশ পছন্দও হয় সকলের৷’’ কিন্তু হলুদ কুসুম সবুজ হল কী করে? অবাক সকলেই৷

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ডিমের কুসুমের রং নির্ভর করে মুরগির খাওয়া-দাওয়ার উপর৷ আসলে এটা খাদ্যের মধ্যে থাকা ক্যারোটিনয়েডস (CAROTENOIDS) এর উপর নির্ভর করে৷ যা ডিমের কুসুমকে বর্ণহীন থেকে হলুদ, কমলা এমনকী লালও করতে পারে৷ কিংবা হতে পারে সবুজ৷এবার শিসাবুদ্দিনই বলতে পারবেন ওঁর মুরগিদের উনি কী ভোজ খাওয়ান৷ 

তাঁর কথায়, ‘‘আমি মুরগিদের তেমন বিশেষ কিছু খাওয়াই না৷ ওদের বিভিন্ন গাছের সবুজ পাতা, কলাগাছের পাতা, পালং শাক এই সব দিয়ে থাকি৷ সেই সঙ্গে থাকে চাল, গম, নারকেল কোরা৷ নয়তো হাতের কাছে যা খাবারে মেলে৷ কিন্তু, সবুজ ডিমের পিছনে রহস্যটা কী তা আমারও জানা নেই৷ আমি নিজেই এই প্রশ্নের জবাব খুঁজে চলেছি৷’’

তবে সবুজ ডিম দেওয়া এই মুরগির ম্যজিক শিসাবুদ্দিনকে গোটা কেরলে ফেমাস করে দিয়েছে৷ তাঁর মুরগির জনপ্রিয়তাও কিছু কম নয়৷ এই ডিম কেনার জন্য দূরদূরান্ত থেকে শিসাবুদ্দিনের গ্রামে হাজির হচ্ছে খরিদ্দার৷ সবুজ ডিমের খবর ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই শিসাবুদ্দিনের কাছ থেকে জোড়া মুরগিও কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন৷ কিন্তু তিনি তাতে রাজি নন৷ তাঁর কাথায়, ‘‘আমি কোনও মুরগি বেঁচতে চাই না৷ কেউ কেউ তো মুরগির বিনিময়ে ১ লক্ষ টাকা দিতেও রাজি ছিলেন, কিন্তু আমি রাজি হইনি৷’’ হবেনই বা কেন? এ যে সোনার ডিম পাড়া মুরগি! রংটা খালি সবুজ৷