কলকাতা: গরু পাচার মামলায় সিবিআই-এর পর জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ বুধবার আসানসোল জেলে গিয়ে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি৷
আরও পড়ুন- ‘সিট’-এর প্রধানের বদল চেয়ে হাইকোর্ট সিবিআই, তিনজনের নাম চাইল আদালত
এই মামলায় উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি টাকার সঙ্গে অনুব্রতর যোগসূত্র খুঁজতে এই প্রথম আসানসোলের জেলে গিয়ে বীরভূম জেলা সভাপতিকে জেরা করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার আধিকারিকরা৷ তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারেনি ইডি৷ অনুব্রত তথ্য গোপন করছেন বলেই দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদর৷ ‘সদুত্তর’ না মেলায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে৷
ইডি সূত্রে খবর, তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে ‘সোন অ্যারেস্ট’ করা হয়েছে। যার অর্থ, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অনুব্রতকে আদালতে হাজির করাতে হবে। তবে কি শুক্রবার অনুব্রতকে আসানসোলের আদালতে পেশ করা হবে, নাকি দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ কোর্টে তথ্য জমা করে সেখানে বিচার হবে, তা স্পষ্ট নয়৷ তবে ইডি সূত্রে দাবি, যেহেতু অনুব্রতকে আদালতে হাজির করানোর সময়সীমা ২৪ ঘণ্টা, তাই তাঁকে আসানসোলের আদালতেই হাজির করানো হতে পারে।
এদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ আসানসোল জেলে প্রবেশ করেন ইডি-র আধিকারিকরা৷ তার পর শুরু হয় জেরা৷ অনুব্রতকে গ্রেফতার করার পর আইনি পরামর্শ নিচ্ছে ইডি৷ এর আগে একই ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে৷ তাঁকেও ‘সোন অ্যারেস্ট’ করে আসানসোল আদালতে পেশ করা হয় এবং সেখানে জানানো হয়, তাঁরা সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে যেতে চান৷ অনুব্রতর ক্ষেত্রেও তেমনটা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ শুধু তা-ই নয়, দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে অনুব্রত এবং সায়গলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>