কলকাতা: উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে প্রথম অদিশা দেবশর্মা৷ ৪৯৮ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন তিনি৷ এই সাফল্যে আনন্দিত কোচবিহারের মেয়ে৷ তিনি বলেন, ‘‘সবার মুখ উজ্জ্বল করতে পেরেছি৷ বিশেষ করে ঠাকুরদা’র আশা ছিল এমন রেজাল্ট করি যাতে প্রেস-মিডিয়া বাড়িতে আসে৷ ঠাকুরদা’র সেই ইচ্ছে যে পূরণ করতে পেরে আমি খুব খুশি৷’’
আরও পড়ুন- আগামী দিনে পথশিশুদের নিয়ে কাজ করতে চান উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম অদিশা
আগামী দিনে অঙ্ক নিয়ে পড়ার ইচ্ছে রয়েছে অদিশার৷ তাঁর কথায়, ‘‘অঙ্ক বিষয়টাকে খুবই ভালোবাসি৷ গবেষণার পথেও যেতে পারি৷ আবার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়েও পড়াশোনা করতে পারি৷ ছোট থেকে সে ভাবে কোনও ইচ্ছে বা লক্ষ্য ছিল না৷ তবে একটাই ইচ্ছা ছিল, আমার রোজগারের টাকাটা যেন সৎপথে হয়৷ আর সেটা যেন পথশিশুদের প্রতিভা বিকাশের কাজে লাগাতে পারি৷’’
অদিশা জানান, সে ভাবে ফোকাসড হয়ে পড়াশোনা করেননি তিনি৷ কারণ একাদশে পড়ার সময়েই নাচ ও আবৃতিতে ষষ্ঠ বর্ষ সম্পূর্ণ করেছেন৷ আঁকায় ফোর্থ ইরায়ের পরীক্ষাও দেওয়া হয়ে গিয়েছে তাঁর৷ দশম শ্রেণির পর থেকে টানা গিটার শিখেছেন৷ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার দু’মাস আগে গিটারের ক্লাস বন্ধ করেন অদিশা৷
ক্লাস বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অধিকাংশ পড়ুয়াই পড়াশোনা ও কমপিটিটিভ পরীক্ষার দিকে মনোযোগী হয়ে পড়ে৷ আনুষঙ্গিক শিক্ষাগুলি পিছনে ছিটকে যায়৷ সেক্ষেত্রে অদিশা ব্যতিক্রমী৷ এক সঙ্গে এতগুলো পছন্দের জিনিস শিখেও এত ভালো রেজাল্ট৷ অনেকের কাছেই অদিশা অনুপ্রেরণা৷ তাঁর কথায়, কেউ যদি কোনও জিনসকে ভালোবাসে এবং মন থেকে করতে চায় সেটা কখনও পড়াশোনার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় না৷ তাছাড়া মন অস্থির করেলই গোয়েন্দার গল্প পড়তেন উচ্চমাধ্যমিকের ফার্ল্ট গার্ল৷
বাধা ধরা নিয়মে কখনও পড়েননি অদিশা৷ এমনও দিন গিয়েছে যখন পড়তেই বসেননি৷ নাচ, আবৃতি করে কাটাতেন৷ আবার এমনও হয়েছে সারা দিন বই নিয়ে বসে রয়েছেন৷ তবে মোটামুটি টিউশনের পাশাপাশি দিনে চার পাঁচ ঘণ্টা পড়তেন অদিশা৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>
