কলকাতা: এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজত শেষে তাঁর ঠিকানা এখন প্রেসিডেন্সি জেলের কুঠুরি৷ ইডি হেফাজতের মেয়াদ ফুরতেই এদিন কলকাতার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক শ্রীপর্ণা রাউতের এজলাসে তোলা হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। বিচারক তাঁকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আদালত থেকেই সোজা মানিককে নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে৷ সেখানে পহেলা বাইশ ওয়ার্ডের দু’নম্বর সেলের সামনে থমকে দাঁড়ান তৃণমূল বিধায়ক৷ মৃদু স্বরে ডাকেন ‘পার্থদা’৷ কিন্তু সাড়া মেলেনি৷ পিঠে হাত দিয়ে সেখান থেকে মানিককে সরিয়ে নিয়ে যান জেলকর্মীরা।
আরও পড়ুন- ভোর হলেই বেশ ঠাণ্ডা লাগছে গায়ে, কবে আসছে শীত? জানাল হাওয়া অফিস
জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলের অফিসঘরে যাওয়ার পথেই বাঁ দিকে পড়ে পহেলা বাইশ ওয়ার্ডের দু’নম্বর সেল। যা আপাতত শিক্ষক দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আস্তানা। সে কথা জানতে পেরেই ওই সেলের সামনে থমকে দাঁড়ান মানিক। প্রসঙ্গত, পহেলা বাইশ সেলেই রাখা হয়েছে তাঁকেও৷
এ দিন আদালতে ইডির আইনজীবীরা জানান, মানিকের পরিবারের সদস্যদের নামে বেনামে প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে৷ বিভিন্ন সংস্থা ও যৌথ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। মানিকের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে প্রায় তিন কোটি টাকা৷ নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিকের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে৷ ইডি হেফাজতে থাকাকালীন জিজ্ঞাসাবাদে অসহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে মানিকের বিরুদ্ধে৷ তদন্তকে অন্য পথে চালিত করার চেষ্টা করছেন বলেও দাবি। তাঁকে সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>