‘কারও বাবার চাকর নই’, ‘ভোটের আগে যাব না’, ইডির নোটিসে কড়া প্রতিক্রিয়া অভিষেকের

‘কারও বাবার চাকর নই’, ‘ভোটের আগে যাব না’, ইডির নোটিসে কড়া প্রতিক্রিয়া অভিষেকের

কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলাকে বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইডি৷ রুজিরা ইডি দফতর থেকে বেরতেই নোটিশ পাঠানো হয় অভিষেককে৷ নোটিশ পেয়েই ক্ষুব্ধ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক৷  

তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচিতে জেলায় জেলায় জনসংযোগে ব্যস্ত ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ৷ কর্মসূচি চলার মাঝে বারবার হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। কর্মসূচি শেষ হলে পঞ্চায়েত ভোটের পর হাজিরার বিষয়ে দেখা যাবে। এখন এত সময় নেই। বৃহস্পতিবার ইডির নোটিস হাতে পেয়েই সাফ জানালেন অভিষেক৷ কৃষ্ণনগরে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি থেকে কার্যত জানিয়ে দিলেন মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে তিনি হাজিরা দেবেন না৷ 

গত ২০ মে নিজাম প্যালেসে তলব করে প্রায় ৯ ঘণ্টা অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। সূত্রের খবর,  কর্মসূচি ছেড়ে হাজিরা দেওয়ার সময়ই তদন্তকারীদের অনুরোধ করেছিলেন অভিষেক, নবজোয়ার কর্মসূচির মাঝে যেন তাঁকে ডাকা না হয়৷ তিনি তদন্তে সহযোগিতা করবেন। কিন্তু তাঁর সেই অনুরোধ রাখেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আগামী মঙ্গলবার তাঁকে ফের সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছে। 

এদিকে, নোটিশ পেয়েই ফুঁসে ওঠেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কৃষ্ণনগরের কালীগঞ্জে কর্মসূচিতে থাকার সময় খবর পৌঁছয় তাঁর কাছে৷ এর পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানান অভিষেক৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি কারও বাবার চাকর নই। যতবার ডাকবে, ততবারই যেতে হবে নাকি? পঞ্চায়েত ভোটের পর দেখা যাবে। আর তাছাড়া আমি এখনও কোনও নোটিশ পাইনি।” তিনি আরও বলেন, ‘‘আজ আমার স্ত্রীকে ইডি অফিস থেকে ছাড়া হয়েছে ৪টে ২০ নাগাদ। আমাকে সাড়ে ৪টে নাগাদ নোটিস দেওয়া হয়। টাইমিংটা খেয়াল করুন। এর আগেরবার আমি একদিনের নোটিসে সিবিআইয়ের তলবে কলকাতায় ছুটে এসেছিলাম। সেবার বারবার তাঁদের অনুরোধ করি যে নবজোয়ার যাত্রাটা শেষ করতে দিন, তারপর যখন ডাকবেন, আসব। এতে অবশ্য ওঁদের দোষ দেখছি না। আমার অফিসারদের প্রতি কোনও রাগ, অভিমান নেই। সবটাই দিল্লি করাচ্ছে। শুধু হেনস্তা করার ছক।”