ইডির তলবের পরিপ্রেক্ষিতে কার্যত মুখের উপর ‘না’ বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট জানালেন- নবজোয়ার কর্মসূচি ছেড়ে তিনি ইডির ডাকে সাড়া দেবেন না। শুধু তাই নয় পঞ্চায়েত ভোটের আগে যে তিনি ইডির কাছে যাবেনা না, তাও জানিয়ে দিয়েছেন। অভিষেকে এই বেপরোয়া জবাব তাঁর বিরুদ্ধেই যাবে না তো? এই নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে। তবে, প্রশ্ন উঠলেও, ঠিক কোন দিকে যাচ্ছে ইডির তদন্ত তা অনুমান করা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। যে কোনও সময় তদন্তের মোড় ঘুরে যেতে পারে বলেই মনে করছেল বিশ্লেষকরা। ঠিক সেই সময় ইডির তলবে অভিষেকের সাড়া না দেওয়া ঘিরে একটা প্রশ্নই সামনে আসছে, আর তা হল এবার অভিষেক পার পাবেন তো? দলীয় কর্মসূচি সূত্রে অভিষেক যখন নদিয়ায়, তখন জানা গেল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক স্ত্রী রুচিরাকে জিজ্ঞাসাবাদের পরই, অভিষেককে তলব করেছে ইডি। তাঁকে ১৩ জুন মঙ্গলবার সাড়ে এগারটা নাগাদ ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
ইডির তলবে অভিষেকের উক্তি, আমার সৌজন্য আমার দুর্বলতা নয়, ইডি বা সিবিআই যখনই ডাকবে তখনই আমায় যেতে হবে তা নয়, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ইডির দফতরে গিয়ে ১০-১২ ঘণ্টা অপচয় করার মতো সময় আমার হাতে নেই। ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট। তারপর যখন ডাকা হবে তখনই যাবো।
অভিষেকের যুক্তি, নবজোয়ার কর্মসূচির সময়ই তদন্তকারী সংস্থার তত্পরতা প্রমাণ করছে, মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে আছে বলেই এই উদ্বেগ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কতটা বিপাকে বা বিপদে সেই প্রশ্নের থেকেও বড় কথা, অভিষেকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে কতটা শক্তিশালী ভূমিকায় থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস? কারণ, ভাবা হয়েছিল সুপ্রিম স্বস্তি পেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষা কবচ পাওয়ার পরও, অভিষেকের বিরুদ্ধে তদন্ত জারি। তাঁকে শুধু নয় তাঁর স্ত্রীকেও তলব করা হয়েছে। অভিষেকের যুক্তি তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি ছিল না তাও রুজিরা ও তাঁদ সন্তানকে আটকানো হয়েছে বিদেশ যাত্রার সময়। ইডির যুক্তি, একটি মামলায় রুজিরার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছে। সুতরাং, যুক্তির বদলে যুক্তির রাজনীতিতে অভিষেক বনাম তদন্তকারী সংস্থায় কতটা সংশয়ে অভিষেক সেই প্রশ্নই বড় হয়ে উঠছে।