Adhir Chowdhury exit congress
নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রদেশ কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হল অধীর চৌধুরী জমানা। শনিবার রাতে এআইসিসি জানিয়ে দিল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে অধীরকে সরিয়ে সেখানে আনা হয়েছে শুভঙ্কর সরকারকে। রবিবার থেকেই নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব চলে এল শুভঙ্করের কাঁধে। শুভঙ্কর পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন, কোন পদ্ধতিতে তিনি চলবেন, তৃণমূলের সঙ্গে তিনি সমন্বয় সাধন করে এগোবেন কিনা, এসব আলোচনা তো চলছেই। কিন্তু রাজ্য রাজনীতিতে মূল আলোচনা হচ্ছে অধীরকে নিয়েই। আগামী দিনে অধীর কী করবেন সেটাই প্রধান চর্চিত বিষয় হয়ে উঠেছে। সেক্ষেত্রে একাধিক সম্ভাবনা উঠে আসছে। (Adhir Chowdhury exit congress)
‘শ্যাডো প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি’ Adhir Chowdhury exit congress
এমনটা দেখা যেতে পারে যে, কংগ্রেসে থেকেই অধীর আগের মতো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র বিরোধিতা করে নিজস্ব ঢঙে একের পর এক রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে যাবেন। সেক্ষেত্রে বঙ্গ কংগ্রেসের সিংহভাগ নেতাকর্মীদের সমর্থন যে অধীরের প্রতিই থাকবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তখন অধীরকে ‘শ্যাডো প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি’ হিসেবে দেখা যেতে পারে। অর্থাৎ অধীর অনুগামীরা সমান্তরাল ভাবে রাজ্য কংগ্রেসকে চালনা করতে পারেন। সেটাই বকলমে কার্যত ‘টিম কংগ্রেস’ হয়ে উঠতে পারে। সেক্ষেত্রে আগের মতোই বিভিন্ন ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলকে তুলোধনা করে যাবেন অধীর। এর পাশাপাশি বিকল্প রাস্তাও খোলা আছে অধীরের কাছে। সেটা হল বিজেপিতে যোগদান। সম্মানজনক পদ দিয়ে রাজ্য বিজেপি যদি অধীরকে দলে টানতে পারে তাতে নিঃসন্দেহে লাভ হবে গেরুয়া শিবিরের। তখন শুভেন্দু অধিকারী, অধীর চৌধুরী, দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদারদের নেতৃত্বে রাজ্য বিজেপির ধার বাড়বে। সবচেয়ে বড় কথা অধীর অনুগামী কংগ্রেসের নেতাকর্মীরাও তখন বিজেপিতে যোগদান করবেন। তাতে রাজ্যে কংগ্রেস আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। সবচেয়ে বড় কথা অধীরকে প্রদেশ সভাপতির পথ থেকে সরানোর কারণে সমস্যা বাড়ল সিপিএমেরও। শুধুমাত্র অধীরের জন্যই পশ্চিমবঙ্গে বাম-কংগ্রেসের জোট হয়েছিল। তুলনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি অনেকটাই নরম শুভঙ্কর সরকারের হাত ধরে যে সেটা সম্ভব নয় তা ভাল করে বুঝতে পারছে আলিমুদ্দিন। সেক্ষেত্রে আগামী দিনে সিপিএমকে রাজ্যে একাই চলতে হবে। সিপিএমের ভোট আরও কমবে।
‘শ্যাডো প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি’
এর পাশাপাশি আরও একটি সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যদি অধীরকে কংগ্রেস আগামী দিনে প্রাপ্য সম্মান না দেয় তাহলে তিনি সরাসরি বিজেপিতে যোগদান না করে পৃথক দল গঠন করতে পারেন। তাতে নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতাও করতে পারবেন তিনি। অর্থাৎ সরাসরি বিজেপিতে না গিয়েও পরোক্ষে তাদের ‘সাপোর্ট’ নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারেন অধীর। সবমিলিয়ে অধীর চৌধুরীর পরবর্তী রাজনৈতিক জীবনে নতুন কোনও বাঁক আসে কিনা এখন সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন-
বিরাট চক্রান্ত! নির্যাতিতার পোস্টমর্টেম নিয়ে বিস্ফোরক দাবি আরজিকরের চিকিৎসকের,
হঠাৎই পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন নিল নবান্ন?
এই নথি না থাকলে বসা যাবে না UPSC পরীক্ষায়,
পর্নোগ্রাফি নয়, স্কুল পাঠ্যে যৌনশিক্ষা চালুর দাবি
Bengal: The official end of Adhir Chowdhury’s reign in the West Bengal Congress has sparked intense discussions. With Shubankar Sarkar as the new president, what lies ahead for Chowdhury? Explore potential scenarios, including a shift to the BJP or a new political party.