নিজস্ব প্রতিনিধি: সন্দেশখালি কাণ্ডে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। শুক্রবার সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ আবু তালেব মোল্লার বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধারের পর এবার জানা গেল সেই সংক্রান্ত খবর নাকি সিবিআই আধিকারিকদের দিয়েছিলেন শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর! সিবিআই সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে। যে বিষয়টি নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। শুধু তাই নয়, এও শোনা যাচ্ছে যে আগামী দিনে এই মামলায় রাজসাক্ষী পর্যন্ত হতে পারেন শেখ আলমগীর। তবে কী সন্দেশখালিতে সাম্রাজ্য বিস্তারের প্রশ্নে দাদা শেখ শাহজাহানের সঙ্গে ঠান্ডা লড়াই চলত তাঁর ভাই শেখ আলমগীরের? তাই কী আলমগীর বহু তথ্য তুলে দিচ্ছেন সিবিআইয়ের কাছে? এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
সন্দেশখালি কাণ্ডে শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পর এই মামলার তদন্তে আরও গতি বাড়ায় সিবিআই। ঘটনা হল কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালিতে সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। আর তারপর থেকেই নিত্য নতুন তথ্য উঠে আসছে। এই আবহের মধ্যে শুক্রবার সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত আবু তালেব মোল্লার বাড়ি থেকে বেশ কিছু দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে সিবিআই ও এনএসজি। রীতিমতো রোবট নামিয়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে।
এমন দৃশ্য পশ্চিমবঙ্গে অতীতে কোনও দিন দেখা যায়নি। তখনই প্রশ্ন ওঠে ওই বাড়িতে যে অস্ত্র ও বিস্ফোরক লুকনো রয়েছে তা সিবিআই জানল কী করে? এরপরই বিষয়টি নিয়ে নানা তত্ত্ব উঠে আসে। সূত্রের খবর শেখ আলমগীরই এই সংক্রান্ত তথ্য সিবিআই আধিকারিকদের দিয়েছিলেন, আর সেই অনুযায়ী চলে তল্লাশি অভিযান। এরপরই সামনে আসে অস্ত্র ভান্ডারের খোঁজ। সেই সঙ্গে জানা যাচ্ছে আলমগীর এবার রাজসাক্ষী হয়ে আরও বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে দিতে পারেন সিবিআইকে। আর তাতেই জল্পনা তবে কী সন্দেশখালিতে নিজস্ব স্টাইলে সাম্রাজ্য বিস্তার করতে চেয়েছিলেন আলমগীর? তাতে দাদা শেখ শাহজাহানের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়েছিল আলমগীরের? অর্থাৎ দাদার পাশাপাশি নিজেও ‘খেলতে গিয়ে’ বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন আলমগীর? এই প্রশ্ন উঠছে। সবমিলিয়ে সন্দেশখালিতে সিবিআই-এনএসজি’র যৌথ অভিযানে অস্ত্র ভান্ডার উদ্ধার ও তাতে শেখ আলমগীরের ভূমিকা রয়েছে কিনা তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে সব মহলে।