নয়াদিল্লি: গত মে মাসেই বাংলাদেশ ও মায়ানমারে তাণ্ডব চালিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’৷ ফের ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রূকুটি৷ ইঙ্গিত মৌসম ভবনের। আগামী সোমবার, ৫ জুন দক্ষিণ পূর্ব আরব সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। যা পরবর্তীকালে শক্তি সঞ্চার করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তার পর সেটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে বলেই আশঙ্কা। শুক্রবার এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর।
এদিকে, বিশ্বের আবহাওয়া মডেল থেকে জানা যাচ্ছে বঙ্গোপসাগরেও ঘনাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা। ৮ থেকে ১০ জুনের মধ্যে উপকূল বরাবর তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘তেজ’-এ পরিণত হবে। তবে ‘তেজ’-এর কতটা প্রভাব বাংলার উপর পড়বে, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷
গত মাসের ১৪ তারিখ বাংলাদেশ এবং মায়ানমারে ধ্বংসলীলা চালিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় মোকা। সেই ঝড়ের তাণ্ডবে প্রভূত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল দুই দেশে। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ১৯০ কিমি। সর্বোচ্চ বেগ ছিল ঘণ্টায় ২১০ কিমি। মোকার স্মৃতি ভোলার আগেই তৈরি হল নতুন করে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা৷
আবহবিজ্ঞানী উমাশঙ্কর দাস জানিয়েছেন, আগামী ৫ জুন দক্ষিণ পূর্ব আরব সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। যা পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় নিম্নচাপের রূপ নেবে৷ পরে তা শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড় পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মৌসম ভবনের আরও এক বিজ্ঞানী ডি শিবানন্দ পাই আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন৷ তবে এই বিষয়ে এখনই নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা যাবে না যে, এট আদৌ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না। আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার গতি কোন দিকে থাকবে, তা এখনই স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। নিম্নচাপ তৈরির পরেই ছবিটা স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>
