নয়াদিল্লি: গরুপাচার কাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল দিল্লি রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট৷ কেষ্টর হিসাবরক্ষকের ঠিকানা হতে চলেছে দিল্লির তিহাড় জেল৷ জানা গিয়েছে, মণীশকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়ার পরই ইডি’র তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁর স্ত্রী। স্বামীকে বারবার নির্দোষ বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন- চলতি সপ্তাহে টানা চারদিন বন্ধ থাকবে রাজ্যের সমস্ত রেশন দোকান, কবে থেকে?
গরুপাচার মামলায় কেষ্টর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের পর গ্রেফতার হলেন হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি৷ ইডি হেফাজত শেষে সোমবার মণীশকে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে তোলা হয়। এদিন আর ইডি’র পক্ষ থেকে মণীশকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার দাবি জানানো হয়নি। ইডি হেফাজতে থাকার সময় অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল মণীশ কোঠারিকে৷ সেই সময় অনুব্রত বলেছিলেন, তিনি কিছু জানেন না৷ তবে সূত্রের খবর, ২০১৮ সালের পর থেকেই ভুয়ো কোম্পানি খোলা হয়৷ কিন্তু, ওই ভুয়ো কোম্পানির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে কোনও জবাব দেননি মণীশ। কোনও প্রশ্নের সদুত্তর না পেয়েই ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতর হিসাবরক্ষককে৷ এদিন দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। আপাতত আগামী ১৪ দিন তিহাড় জেলেই থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলের সিএ-কে৷
সূত্রের খবর, জেল হেফাজতের নির্দেশ শোনার পরেই কেঁদে ফেলেন মণীশ-জায়া৷ স্বামীর সঙ্গে কিছুক্ষণ কথাও বলেন তিনি। এদিন মণীশের স্ত্রী তাঁর স্বামীর হাতে মাদুলি তুলে দেন বলেও সূত্রের খবর। এর পর ইডি’র তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি৷ গরু পাতার মামলায় মণীশ মূল অভিযুক্ত না হলেও বারবার তাঁর নাম জড়িয়েছে৷ খোদ অনুব্রত মণ্ডল জেরায় মণীশ কোঠারির নাম বারবার উল্লেখ করেছেন। সেই সূত্র ধরেই গ্রেফতার হলেন তিনি৷
অন্যদিকে, ইডি-র তলব সত্ত্বেও এখনও হাজিরা দেননি অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। আজই দিল্লিতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে সুকন্যার গাড়ির চালক তুফান মিদ্যাকে। হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা কৃপাময় ঘোষকেও। তলব করা হয়েছে অনুব্রতর বাড়ির রাঁধুনি ও লাভপুর কলেজের শিক্ষাকর্মী বিজয় রজককে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>