‘বাবা বললেই চেকে সই করতাম’, কেষ্টর ঘাড়েই দায় চাপালেন সুকন্যা! ‘হাতিয়ার’ করল ইডি

‘বাবা বললেই চেকে সই করতাম’, কেষ্টর ঘাড়েই দায় চাপালেন সুকন্যা! ‘হাতিয়ার’ করল ইডি

নয়াদিল্লি: গরু পাচার মামলায় বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে অনুব্রত মণ্ডল, কন্যা সুকন্যা মণ্ডল এবং হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।  মোট তিনটি খণ্ডে ২০৪ পাতার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে সুকন্যার বয়ানকেই হাতিয়ার করা হয়েছে৷ উল্লেখ করা হয়েছে এনামুল হক, আবদুল লতিফ, সায়গল হোসেনদের বয়ানও। কীভাবে গরু পাচার চক্র চলত এবং কী ভাবে সেই টাকা অনুব্রতর হাতে পৌঁছত, সবটাই চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। গোটা দুর্নীতিকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত হিসাবে সায়গল হোসেন ও এনামুল হকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অনুব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাদের গরু পাচারে প্রত্যক্ষ মদত যোগাতেন এই তৃণমূল নেতা৷ 

ইতিমধ্যেই অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের ১১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি৷ সেই হিসেবেও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। অনুব্রত কন্যা সুকন্যার নামে যে সব সম্পত্তি আছে তার খতিয়ানও দিয়েছে ইডি। ভোলে ব্যোম ও শিব শম্ভু রাইস মিল ছাড়াও আরও দু’টি সংস্থার কথা ইডি চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে৷ 

ইডি-র দাবি, গরু পাচারের আয় থেকে বেনামে কিছু সম্পত্তি কিনেছিলেন অনুব্রত৷ সম্পত্তি কিনেছিলেন মেয়ের নামেও৷ সুকন্যাকে জেরা করে সেই তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারী অফিসারদের হাতে৷ জেরার মুখে সুকন্যা জানিয়েছেন, তিনি বাবার কথা মতো চেক বইয়ে সই করতেন৷ গরু পাচারের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না৷ জিজ্ঞাসাবাদের সময় সুকন্যা নাকি বলেন, “চেকবইয়ে সই করতে বলতেন বাবা। সই করে দিতাম। বাবাই সব জানে।” সুকন্যার এই বয়ানকেই অনুব্রতর বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে ইডি৷ 

ইডির দাবি, ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার করা হত৷ এই চক্রের মূল মাথা ছিলেন এনামুল হক। তাঁর সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রেখে চলতেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। আর রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে গরু পাচারের সেফ করিডর তৈরি করে দিতেন অনুব্রত মণ্ডল৷ এনামুল, আবদুলদের কাছ থেকে সায়গল হোসেনের কাছে আসত গরু পাচারের প্রোটেকশন মানি। সেই টাকাই পরে পৌঁছে যেত অনুব্রতর কাছে।  ইডি-র চার্জশিটে ব্যক্তি ও সংস্থা মিলিয়ে মোট অভিযুক্ত ২৩ জন। প্রত্যেকের ভূমিকা কী ছিল তার উল্লেখ করা হয়েছে।