নয়াদিল্লি: গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল এখন দিল্লিতে। আদালতের নির্দেশে তিনদিনের ইডি হেফাজতে রয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে দিল্লি পৌঁছনোর পর বিচারকের নির্দেশে দিল্লির এপিজে আব্দুল কালাম রোডে ইডির সদর দফতরই অনুব্রতর আপাতত ঠিকানা। সেখানেই বুধবার থেকে দফায় দফায় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ইডি আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশে ইডির সদর দফতরে উপস্থিত রয়েছেন কেষ্টর এক আইনজীবীও৷ এদিন গরু পাচার মামলা নিয়ে যখন জেরা চলছে, তখন নয়া দাবি করে বসলেন এই দাপুটে নেতা। ইডি সূত্রে খবর, অনুব্রত নাকি দাবি করেছেন, তিনি হিন্দি, ইংরেজি লিখতে পারেন না। এমনকী বাংলা বলতে পারলেও লিখতে পারেন না৷
আরও পড়ুন- দিল্লিতেও অনুব্রতকে লক্ষ্য করে ‘গরুচোর’ স্লোগান, অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতা
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে বারোটা থেকে জেরা শুরু করে ইডির। সূত্রের খবর, লিখিতভাবে বয়ান রেকর্ড করাই নিয়ম রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। অর্থাৎ যাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে তাঁদের লিখিত আকারে প্রশ্ন দেন ইডি আধিকারিকরা৷ সেই প্রশ্নের উত্তর লিখিতভাবেই দিতে হয় তাঁদের। কিন্তু অনুব্রতর ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হচ্ছে না।
সূত্রের খবর, অনুব্রত ইডি আধিকারিকদের জানিয়েছেন, তিনি কোনও প্রশ্নের উত্তর লিখিত ভাবে দিতে পারবেন না। কারণ তিনি লিখতেই জানেন না৷ শুধু সইটুকু করতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে ইডি আধিকারিকরা একজন রাইটারকে নিয়ে আসেন৷ তিনিই অনুব্রতর বয়ান লিখে দিচ্ছেন। গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে বলেও ইডি সূত্রে দাবি।
ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে, জেরার সময় একাধিক প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছেন অনুব্রত। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে। জেরা পর্বে অনুব্রত যে নিজের হাতে বয়ান লিপিবদ্ধ করতে চাইছেন না, তাও আদালতে জানানো হবে বলে ইডি সূত্রে খবর।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>