দাদাকে দেখে ছাড়েন ডাক্তারি, UPSC দিয়ে তৃতীয় হন টিনা দাবির এই বান্ধবী

দাদাকে দেখে ছাড়েন ডাক্তারি, UPSC দিয়ে তৃতীয় হন টিনা দাবির এই বান্ধবী

নয়াদিল্লি: আইএএস টপার টিনা দাবির কথা হয়তো অনেকেরই মনে আছে৷ ইউপিএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থানাধিকারী আতহর আমির খানের সঙ্গে তাঁর প্রেমকাহিনি এক সময় গোটা দেশের নজর কেড়েছিল৷ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধও হয়েছিলেন দুই আইএএস অফিসার৷ তবে সেই বিয়ে টেকেনি৷ কয়েক বছরের মধ্যে সম্পর্ক ভাঙে তাঁদের। তবে সম্প্রতি চর্চার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন টিনার এক বান্ধবী৷ তিনিও এক জন আইএএস অফিসার। নাম আর্তিকা শুক্লা।

আরও পড়ুন- ডিসেম্বরে ১৩ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক, সময় বুঝে সেরে ফেলুন জরুরি কাজ

১৯৯০ সালে উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে জন্ম আর্তিকার। ছোট থেকেই ছিলেন মেধাবী৷ বারণসীতে স্কুলের পাঠ শেষ করে দিল্লিতে চলে আসেন তিনি৷ সেখান থেকেই ডাক্তারি পড়েন৷ ২০১৩ সালে এমবিবিএস পাশ করার পর লোকনায়ক হাসপাতালে ইন্টার্ন হিসাবে কাজে যোগ দেন।

artika

আর্তিকার বাবা ব্রিজেশ শুক্লাও এক জন বিশিষ্ট চিকিৎসক। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) সভাপতি ছিলেন৷ এক সাক্ষাৎকারে আর্তিকা জানিয়েছিলেন, বাবাই ছিল তাঁর অনুপ্রেরণা৷ বাবাকে দেখেই ডাক্তারি পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। লোকনায়ক হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ শেষ করার পর শিশু চিকিৎসক হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন৷ চণ্ডীগড়ের পিজিআইএমইআরে ভর্তিও হয়ে যান৷ 

আর্তিকা

এরই মধ্যে ২০১২ সালে তাঁর দাদা উৎকর্ষ শুক্লা ইউপিএসসি পরীক্ষায় পাশ করে আইআরএস হন। দাদাকে দেখে মত পাল্টান আর্তিকা৷ আইএএস হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মাঝ পথেই ছাড়েন ডাক্তারির পড়া৷ 

artika

২০১৪ সাল। মেডিক্যাল পড়া ছেড়ে দাদার অনুপ্রেরণায় ইউপিএসসির প্রস্তুতি শুরু করে দেন আর্তিকা। প্রথমবারেই আসে সফলতা৷ ২০১৫ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করেন তিনি। উল্লেখ্য, ওই বছরই ইউপিএসসি পরীক্ষার টপার হয়েছিলেন টিনা দাবি। আর্তিকা জানান, ইউপিএসসির জন্য প্রথাগত কোনও কোচিং ক্লাস করেননি তিনি। বরং পড়াশোনায় তাঁকে সপূর্ণ সহযোগিতা করেছিলেন তাঁর দাদা৷ দাদার পরীক্ষার নোট পড়েই ইউপিএসসি পরীক্ষা দেন আর্তিকা৷

artika

ইউপিএসসি পাশ করার পর প্রশিক্ষণে গিয়ে আর্তিকার আলাপ হয় জমসিত সিংহের সঙ্গে। সেই পরিচয়ই পরে প্রেমের রূপ নেয়৷ ২০১৭ সালে জসমিতের সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধেন আইএএস আর্তিকা। আইআইটি রুরকির স্নাতক পঞ্জাবের লুধিয়ানার বাসিন্দা জমসিত ছিলেন ইউপিএসসি-তে দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থানাধিকারী।

artika

২০১০ সাল থেকে ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন জসমিত। দু’বার ব্যর্থও হন৷ ২০১৪ সালে ফের পরীক্ষায় বসেন। তাঁর ব়্যাঙ্ক ছিল ৩৩২৷ আইআরএস হিসাবে চাকরিতে যোগ দেন। কিন্তু, জসমিত চেয়েছিলেন আইএএস হতে। সেই লক্ষ্য পূরণেই ২০১৫ সালে ফের ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেন। এবার আর নিরাশ হতে হয়নি৷ দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থান দখল করেন তিনি।