প্রয়াত ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র স্রষ্টা ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়, সহিত্য জগতে শোকের ছায়া

প্রয়াত ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র স্রষ্টা ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়, সহিত্য জগতে শোকের ছায়া

কলকাতা: চলে গেলেন ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র স্রষ্টা সাহিত্যিক ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি৷ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন সাহিত্যিক। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮২ বছর৷ 

আরও পড়ুন- জট কাটল SAT চেয়ারম্যান নিয়োগে, রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ছিল

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার বাড়িতে থাকার সময়ই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সাহিত্যিক। তড়িঘড়ি অশীতিপর সাহিত্যিককে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শুক্রবার হাসপাতালেই প্রয়াত হল ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়৷ দুপুর ৩টে নাগাদ  হাসপাতাল থেকে প্রয়াত সাহিত্যিকের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে হাওড়ার জগাছা এলাকার ধারসায়, তাঁর বাসভবনে।

১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ৯ মার্চ হাওড়া জেলার খুরুট ষষ্ঠীতলায় জন্ম ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়ের। হাওড়ার রামরাজাতলাতে নিজ বাসভবনেই থাকতেন  সাহিত্যিক৷ কিশোর বয়স থেকেই সাহিত্যসাধনা শুরু তাঁর। তিনি আগোগোড়াই ছিল রোমাঞ্চ প্রিয়৷ তাঁর গল্প, উপন্যাসে রয়েছে ভ্রমণের ছাপ৷  বাবলু, বাচ্চু , বিলু, ভোম্বল, বিচ্চু এবং পঞ্চুর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাঙালির আবেগ। বইয়ের পাতায় কত জটিল রহস্যের সমাধান করেছে এই পঞ্চ পাণ্ডব।  বুদ্ধির ভেলকিতে বাজিমাত করেছে তারা। কিশোর মনে রহস্য উন্মোচনের নেশা বাঙালিকে পাণ্ডব গোয়েন্দার প্রেমে পড়তে বাধ্য করেছে। ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়ের লেখনিতে জীবন্ত হয়ে উঠেছিল পঞ্চ পাণ্ডবের চরিত্রগুলি। 

১৯৬১ সালে প্রথম সারির এক সংবাদপত্রের সঙ্গে যুক্ত হন সাহিত্যিক। ১৯৮১ সালে পাণ্ডব গোয়েন্দা তাঁকে বিপুল জনপ্রিয়তা এনে দেয়। রহস্য রজনীগন্ধার কিংবদন্তীর বিক্রমাদিত্য, পুণ্যতীর্থে ভ্রমণ তাঁর এই সৃষ্টিগুলি পাঠকের মনে গাঁথা থাকবে চিরকাল৷