‘শুভেন্দু যেন ওঁর বাবাকে গিয়ে উপদেশ দেন’, ইস্তফা দিয়েই বিঁধলেন বাবুল

‘শুভেন্দু যেন ওঁর বাবাকে গিয়ে উপদেশ দেন’, ইস্তফা দিয়েই বিঁধলেন বাবুল

কলকাতা:  রাজ্যজুড়ে যখন লক্ষ্মীপুজোর আড়ম্বর, তখন দিল্লিতে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার বাসভবনে গিয়ে ইস্তফার চিঠি  দিলেন বাবুল সুপ্রিয়৷ আসানসালোর সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই শুভেন্দু অধিকারীকে তুলোধোনা করলেন তিনি৷ প্রসঙ্গত, বাবুল তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি’তে যোগ দেওয়ার পরেই তাঁর সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা৷ তবে বাবুল কিন্তু দল বদলের পরেই ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন৷ বরং সময় দিতে পারছিলেন না স্পিকার৷ অবশেষে মঙ্গলবার বাবুলকে সময় দেন ওম বিড়লা৷ 

আরও পড়ুন- রাজ্যের চার কেন্দ্রে ৮০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, শুরু রুটমার্চ

আবেদনের ২ মাস পর বাবুলকে সময় দেন লোকসভার অধ্যক্ষ৷ আজ ইস্তফাপত্র জমা দেয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বাবুল৷ তিনি বলেন, দল বদলের পর সাংসদ পদ ধরে রাখাটা অনৈতিক বলেই মনে করি৷ ইস্তফা দিয়ে নিজেকে মুক্ত লাগছে৷ পাশাপাশি আসানসোলের মানুষের প্রতি তাঁর আবেগের কথাও ব্যক্ত করেন বাবুল৷ এক হাত নেন শুভেন্দুকেও৷ তিনি বলেন, ‘আসানসোল আমার কাছে খুবই স্পেশাল৷ আসানসোলের প্রতি আমার আলাদা দায়িত্ব আছে। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আমার আগেও বন্ধুত্ব ছিল, এখনও আছে। শুভেন্দু আমার সম্পর্কে নানা মন্তব্য করে৷ রাজনৈতিক স্বার্থে ওঁকে এটা করতেই হয়। আমি নৈতিকভাবে সাংসদ পদ ছেড়ে দিলাম। শুভেন্দুর বাবারও সেটাই করা উচিত সেটা৷ শুভেন্দু যেন ওঁর বাবাকে গিয়ে উপদেশগুলো দেন।’

এদিকে এদিন টুইট করে বাবুল লেখেন, ‘‘আমার মধ্যে যদি ক্ষমতা থাকে, তাহলে আবার জিতব।’’ যা দেখে রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছে, আগামী দিনে হয়তো ফের লোকসভা নির্বাচনে লড়বেন তিনি৷ প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে আসালসোল থেকে ভোটে জিতে লোকসভায় যান বাবুল৷ পুরস্কার হিসাবে পান কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব৷ ২০১৯ সালে পুরনো রেকর্ড ভেঙে ফের জয়ী হন তিনি৷ এবারেও মোদীর মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পান বাবুল৷ কিন্তু সম্প্রতি মন্ত্রিসভার রদবদলে মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ পড়েন আসানসোলের সাংসদ৷ এর পরেই রাজনৈতিক সন্ন্যাস নিয়ে নেন বাবুল৷ পরে তিনি বিজেপি ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূলে৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 1 =