BREAKING: CBI হেফাজতে মৃত্যু বগটুই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের

BREAKING: CBI হেফাজতে মৃত্যু বগটুই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের

কলকাতা:  সিবিআই হেফাজতে বগটুই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের  মৃত্যু৷ রামপুরহাটে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে রহস্যমৃত্যু হয় লালনের৷ ভাদু শেখ খুনে গ্রেফতার করা হয়েছিল লালনকে৷ ২১ মার্চ খুন হন তৃণমবল নেতা ভাদু শেখ৷ সেই রাতেই বগটুইতে পুড়িয়ে খুন করা হয় ১০ জনকে৷ একের পর এক বাড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়৷ আদালতের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই৷ ভাদু শেখ হত্যাকাণ্ডেরও তদন্ত করছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ এই বগটুইকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত ছিল লালন শেখ৷ 

আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্টে কলকাতার ভূমিপুত্র! শপথ নিলেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত,

লালনের বিরুদ্ধে বগটুই গ্রামে আগুন লাগানোর অভিযোগ ছিল। চলতি মাসেই ঝাড়খণ্ডের পাকুড় এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। ৪ ডিসেম্বর রামপুরহাট আদালতে তোলা হলে, লালনকে ৬ দিন সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক৷ পরে আরও ৩ দনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়৷ 

বগটুই কাণ্ডের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সেখানে গিয়েছিলেন৷ বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি৷ সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যু হল সিবিআই হেফাজতে৷ সিবিআই আধিকারিক ও সিআরপিএফ জওয়ানরা ইতিমধ্যেই রামপুরহাটের অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে এসে পৌঁছেছেন৷ তবে সিবিআই-এর ওই অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে লালনের দেহ বার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হবে৷    

২১ মার্চ বগটুই গ্রামে যাঁরা অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন, তাঁদের আত্মীয় মিহিলাল শেখ ধৃত লালনের ফাঁসির দাবি তুলেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘সে দিন লালনের নেতৃত্বে দলবল এসেছিল গ্রামে। আমরা ওর ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। এটা মানুষেরও দাবি৷’’ সিবিআই হেফাজতে সেই লালনের ‘রহস্যমৃত্যু’ নিয়ে শুরু হয়েছে শোরগোল৷ 

সিবিআই-এর দাবি, বগটুই-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ছিলেন লালন। তিনি নিহত তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের ডান হাত বলেই এলাকায় পরিচিত ছিলেন। বগটুই-কাণ্ডে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে করে লালনের নাম উঠে আসে। অবশেষে তাঁকে ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই। রবিবার সকালে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর শারীরিক পরীক্ষাও করা হয়৷ সোমবার সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু হয় তাঁর৷