কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর এখন সিবিআই হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বন্দি থাকলেও তাঁকে নিয়ে চর্চা চলছেই৷ আর এবার শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে উঠে এল তাঁর নাম৷ বৈশাখী জানান, এক বার তাঁকে এবং মদন মিত্রকে একটি সভায় কাছারাছি দেখেই তাঁকে দূর থেকে ‘এসএমএস’ করেছিলেন পার্থ৷ তিনি যেন মদনকে কোনও ভাবেই নিজের ফোন নম্বর না দেন, সে ব্যাপারে সতর্ক করে দেন৷
আরও পড়ুন- সাগরে ঘনাচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত, আকাশে মেঘের গর্জন, পুজোয় কতটা বৃষ্টি, জানাল IMD
শনিবার ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় একটি টিভি চ্যানেলে আড্ডার আসরে বসেছিলেন শোভন, বৈশাখী এবং মদন। সেখানেই ওঠে পার্থের প্রসঙ্গ। গল্পে গল্পে বৈশাখী জানান, সরকারি ভবন ‘উত্তীর্ণ’-র সভাগৃহে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি৷ সেখানেই ঘটে একটা ঘটনা। বৈশাখী বলেন, ‘‘শোভন তখন মঞ্চে। শোভনের সঙ্গে আমার বন্ধুত্বের কথা তখন একটু আধটু রটছে৷ মঞ্চে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে চার পাঁচ জন আমায় চেনেন। মমতাদি তখনও এসে পৌঁছননি। মঞ্চে বক্তৃতা চলছে। আমি এক পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কেউ কেউ এগিয়ে এসে আমাকে বসার কথা বলছেন৷ এরই মধ্যেএ এক জন এসে বললেন, ‘‘আপনি এখানে বসবেন?’ এত অন্ধকার যে চেনা যাচ্ছে না। কিন্তু মদনদার তো দুধে-আলতার মতো গায়ের রং! আমি বললাম, ‘না না আমি বসব না, দাঁড়াই।’ মদনদা বললেন, ‘বসলে বসে পড়ো।’ হঠাৎ আমার ফোনে একটা মেসেজ। সেখানে লেখা, ‘মদনকে কিন্তু ভুলেও নিজের ফোন নম্বর দেবে না।’ আমি মনে মনে ভাবি, কতটা তীক্ষ্ণ নজর হলে এমনটা হতে পারে।’’ বৈশাখী বলে চলেন, ‘‘এটা যদি শোভন বলত, মানা যেত। কিন্তু মঞ্চ থেকে আমার মন্ত্রী এভাবে নজর রাখছেন, মদন মিত্রকে যেন আমি ফোন নম্বর না দিই।’’
এখনও পর্যন্ত মন্ত্রীর নাম উহ্যই রেখেছিলেন বৈশাখী। পরে অবশ্য ফাঁস করে দেন কার কথা বলতে চাইছেন। তিনি বলেন, ‘‘যিনি আমার মন্ত্রী ছিলেন, আমি যাঁর দফতরে কাজ করতাম, যাঁর বান্ধবীকে নিয়ে এখন এত আলোচনা।’’ এর পর সোজাসুজি নাম নিয়েই তিনি বলেন, ‘‘পরে আমি পার্থদাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আপনি ওই মঞ্চ থেকে কী করে দেখতে পেলেন? তার মানে মদনদাকেই দেখছিলেন?’’ জবাবে পার্থ বৈশাখীকে বলেছিলেন, ‘‘তুমিও তো ঘুরে ফিরে সেই মদনের পাশে গিয়েই দাঁড়ালে দেখছি।’’