বাঁকুড়া: এসএসসি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে চাকরি খারিজ হয়েছে ২৫,৭৫৩ জনের৷ তবে মানবিক কারণ চাকরিতে বহাল রাখা হয়েছে সোমা দাস নামে এক শিক্ষিকাকে। কারণ, তিনি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত৷ তবে চাকরি গিয়েছে বাঁকুড়ার আর এক ক্যানসার আক্রান্ত প্রার্থী বিধান বাউরির৷ চাকরি হারিয়ে মাথায় হাত যুবকের। একেই শরীরে মারণ রোগ, তার উপর সংসারের বোঝা৷ কী ভাবে সামলাবেন সবকিছু? অথৈ জলে বাউড়ি পরিবার৷
বিধানের মা সনকা বাউরি অন্যের বাড়িতে কাজ করে খুব কষ্ট করে ছেলেকে পড়াশোনা শিখিয়েছিলেন৷ ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার মাধ্যমে দিয়ে গ্রুপ সি পদে চাকরি পেয়েছিলেন বিধান। এর পর ঋণ নিয়ে মাথা একটা পাকা বাড়ি তৈরি করেন৷ তবে ২০২২ সালের গোড়ায় বিধানের শরীরে ধরা পড়ে ক্যানসার। দিল্লি এইমসে চিকিৎসা চলছে তাঁর। এরই মাঝে আদালতের রায়ে রাতারাতি চাকরিহারা তিনি৷ বিধান বলেন, ‘‘সরকার চাকরি দিয়েছে। চাকরি চলে গেলে এর দায়ও সরকারকে নিতে হবে। এতো ঠগ বাছতে গিয়ে পুরো গ্রাম উজার হয়ে গেল। যারা দোষ করেছে তারা শাস্তি পাক। আমার জীবনের শেষ সম্বল বলতে ছিল এই চাকরি৷ সেটাও গেল। আমি চাইনি আমার শারীরিক পরিস্থিতি দেখে চাকরিতে বহাল রাখা হোক।”