কলকাতা: ছোট থেকেই বহু মানুষের সঙ্গী দু’চাকার এই যান৷ সাইকেল চালাতে ভালোবাসে না এমন খুদে হাতে গোনা৷ ছোট বেলায় এটা নেহাত শখ হলেও, বড় বয়সে অবশ্যই তা প্রয়োজনীয় বাহন৷ বিশেষ করে মধ্যমিত্ত মানুষের সঙ্গী সাইকেল৷ কিন্তু জানেন কি, দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সাইকেল ব্যবহার করে কোন রাজ্যের মানুষ? জবাবটা পশ্চিমবঙ্গ৷
আরও পড়ুন- মুর্শিদাবাদে ক্লোরিন গ্যাস লিক করে অসুস্থ ১৮, দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক
পরিসংখ্যান বলছে, এ রাজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ (৭৮.৯ শতাংশ) মানুষই সাইকেল চালান। সম্প্রতি ন্যাশনাল ফ্যামিলি অ্যান্ড হেলথ সার্ভেতে উঠে এসেছে এমনই চমকপ্রদ তথ্য। ২০১৯ থেকে ২১ সালের মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়৷ সেখানে দেখা গিয়েছে, পশ্চিমবাংলার মানুষের মধ্যেই নিয়মিত সাইকেল ব্যবহারের প্রবণতা দেখা যায়। এদিন থেকে রাজধানী দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, রাজস্থান কিংবা মহারাষ্ট্রকে অনেকটাই পিছনে ফেলেছে বাংলা৷
এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এই প্রকল্পে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের বিনা পয়সায় সাইকেল দেওয়া হয়৷ উদ্দেশ্য ছিল নারীর ক্ষমতায়ন, মেয়েদের স্কুলমুখী করা এবং ড্রপআউট রোখা৷ রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ পুরস্কারও পায় তৃণমূল সরকারের এই প্রকল্প৷ এই প্রকল্প আসার পড় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সাইকেল ব্যবহারের প্রবণতাও অনেকটাই বেড়েছে৷
এছাড়াও লকডাউনের পর থেকে অনেকেই আর্থিক সংকটে ভুগতে শরু করেন৷ পাশাপাশি ছিল নানা বিধি নিষেধ৷ ফলে রাজ্যজুড়ে বেড়েছিল সাইকেলের ব্যবহার। শহরতলী কিংবা জেলার বাসিন্দারা বিভিন্ন কাজের জন্য সাইকেলের উপরই ভরসা করেন। বিশেষত করোনা পর্বে সংক্রমণ রুখতে এবং খরচা বাঁচাতে সাইকেল নিয়ে যাতায়াতই শ্রেয় বলে মনে করেছেন অধিকাংশ রাজ্যবাসী।
সাইকেল আরোহীর দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গের পরেই রয়েছে যোগীরাজ্য উত্তর প্রদেশ। সে রাজ্যে ৭৫.৬ শতাংশ মানুষ সাইকেল ব্যবহার করেন। এরপর যথাক্রমে রয়েছে ওডিশা (৭২.৫ শতাংশ), ছত্তিশগড় (৭০.৮ শতাংশ), অসম (৭০.৩ শতাংশ)। তালিকায় সবচেয়ে নীচে রয়েছে উত্তরপূর্বের রাজ্য নাগাল্যান্ড৷ এখানে মাত্র ৫.৫ শতাংশ মানুষ সাইকেল ব্যবহার করেন। এছাড়াও খুব কম সংখ্যক সাইকেল ব্যবহারকারীর রয়েছে সিকিম (৫.৯ শতাংশ), মিজোরাম (৯.৩ শতাংশ), হিমাচলপ্রদেশ (১২.৭ শতাংশ) এবং জম্মু-কাশ্মীরে (১৮.৩ শতাংশ)।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>