নয়াদিল্লি: আরব সাগরের বুকে দানা বেঁধেছে ঘূর্ণিঝড়৷ যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিপর্যয়’৷ এই ঝড় শক্তিশালী থেকে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে বলে সতর্ক করল মৌসম ভবন৷ আরব সাগরের জলরাশি থেকে জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে ক্রমাগত শক্তি বাড়াচ্ছে ‘বিপর্যয়’৷ কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আরব সাগরের বুকে শক্তি বাড়িয়ে ‘বিপর্যয়’ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সময় তার শক্তি বৃদ্ধি করছে৷ যার ধাক্কায় মুম্বই এবং মহারাষ্ট্রের বিক্ষিপ্ত এলাকায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই গুজরাতের সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ উপকূলে সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। ভারতের পশ্চিমের অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা৷
কবে, কোথায় আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়?
মৌসম ভবন জানিয়েছে, প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’৷ এর ফলে বুধবার পর্যন্ত সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ উপকূল বরাবর সমুদ্রের জল উত্তাল থাকবে। বৃহস্পতিবার ফুঁসে উঠবে আরব সাগরে। বিশাল উঁচু উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়বে তটে। সেই সঙ্গে বৃহস্পতিবারই ল্যান্ডফল হবে ‘বিপর্যয়’-এর৷ গুজরাত ও পাকিস্তানের মধ্যবর্তী মাণ্ডবী এলাকায় আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়। গুজরাতের কচ্ছ ও পাকিস্তানের করাচিতে তাণ্ডব চালাতে পারে ‘বিপর্যয়’৷
গুজরাত, কেরালা, কর্নাটক ও লাক্ষাদ্বীপের মৎস্যজীবীদের আপাতত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে৷ ১৪ জুন পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকবে গুজরাতের সৈকত। গুজরাতের কচ্ছ, জামনগর, মোরবি, গির সোমনাথ, পোরবন্দর ও দ্বারকা জেলায় প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত আসবে পাকিস্তানেও৷ সে দেশের সরকারও সিন্ধু ও বেলুচিস্তান কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে৷
এই মুহূর্তে বিপর্যয়ের অবস্থান করাচি থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং গুজরাতের পোরবন্দর থেকে ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে আরব সাগরের৷ আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছে, ‘বিপর্যয়’-এর জেরে ১৫০-১৬০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো ঝড়। উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় এই ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>