নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক হয়নি। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বঙ্গ বিজেপির সমস্ত সাংসদ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের সংগঠনিক শক্তি আরও মজবুত কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, এমনটাই সূত্রের খবর। কিন্তু তার থেকেও বড় ব্যাপার হল এই বৈঠকে নাকি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গ বিজেপি সাংসদদের আশ্বাস দিয়েছেন যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ শীঘ্রই নাকি গোটা দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও লাগু করা হবে। জানা গিয়েছে মতুয়া অধ্যুষিত অঞ্চলের দুই সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এবং জগন্নাথ সরকার বৈঠকে শাহের কাছে এই বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। তাতে নাকি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন খুব দ্রুত এই আইন লাগু করা হবে। যদি সত্যিই কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব সেই রাস্তায় হাঁটেন তবে রাজ্য রাজনীতির সমীকরণটা রাতারাতি বদলে যেতে পারে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে রাজ্যে বিজেপির ক্রমশ শক্তিক্ষয় হয়েছে। বিধানসভা এবং লোকসভার বিভিন্ন উপ-নির্বাচনে বিজেপি দাঁত ফোটাতে পারেনি। তাদের হাতছাড়া হয়েছে দিনহাটা এবং শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের পাশাপাশি আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র। গেরুয়া শিবির মনে করছে গত বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয় হলেও যেখানে বিজেপির ভাল ফল হয়েছে সেই বনগাঁ, নদিয়ায় সিএএ চালু না হলে লোকসভা নির্বাচনে তাদের সেখানে পরাজয় একপ্রকার সুনিশ্চিত। কারণ সেই সমস্ত জায়গায় বিপুল সংখ্যক মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন। বিজেপি সিএএ চালু করলে তাঁরা নাগরিকত্ব পাবেন, এই ভরসা থেকেই গত লোকসভা এবং একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মতুয়াদের ভোটের সিংহভাগ বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে। কিন্তু বারবার এ বিষয়ে চর্চা হলেও সিএএ আইন হলেও সেটি কার্যকর করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর জানা যাচ্ছে তিনি সিএএ চালু করার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপি সাংসদদের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব বহুদিন ধরেই সিএএ দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছে। কিন্তু বারবার আশ্বাস দেওয়ার পরেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সে বিষয়ে পদক্ষেপ করেননি। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ জন্মাচ্ছে বঙ্গ বিজেপির সাংসদদের মধ্যে। বিজেপি কেন্দ্রের কাছে এই বার্তা পাঠিয়েছে যে সিএএ কার্যকর না করলে লোকসভায় দলের ফল খারাপ হবে। কিন্তু তারপরেও তৎপরতা বাড়ায়নি কেন। এই আবহের মধ্যে বঙ্গ বিজেপি সাংসদদের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সত্যিই যদি এ ব্যাপারে আশ্বাস দিয়ে থাকেন, তাহলে রাজ্য রাজনীতিতে নিঃসন্দেহে নতুন সমীকরণ দেখা যাবে। তাই বিষয়টি আগামী দিনে কোন দিকে মোড় নেয় এখন তারই অপেক্ষা।
ঘোষণা
এই প্রতিবেদন আজ বিকেল ডট কমের নিজস্ব। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এই প্রতিবেদন আজ বিকেল ডট কমের পাতায় নাও দেখা যেতে পারে৷ ফলে, সব খবরের জন্য অবশ্যই নজর রাখুন https://aajbikel.com/ -এই লিঙ্কে৷
আমাদের ফেসবুক পেজ – https://www.facebook.com/Aajbikal
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল- https://www.youtube.com/@AajBikelNews -এ নজর রাখতে পারেন
