১০ কোটির ‘লেনদেন’! কুন্তল-তাপসদের চাকরি ‘বেচা-কেনা’র চক্র চার্জশিটে ফাঁস CBI-এর

১০ কোটির ‘লেনদেন’! কুন্তল-তাপসদের চাকরি ‘বেচা-কেনা’র চক্র চার্জশিটে ফাঁস CBI-এর

 কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম চার্জশিট দাখিল করল   সিবিআই। প্রতারণা, জালিয়াতি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র সহ ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার চার্জশিট দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ সিবিআই সূত্রে খবর, ওই চার্জশিটে কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল ও নীলাদ্রি ঘোষের কীর্তি ফাঁস করা হয়েছে৷ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে তাঁরা যে ভাবে দুর্নীতির জাল বিস্তার করেছিলেন, সেই সমস্ত বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তিন অভিযুক্তর গ্রেফতারির ৮৯ দিনের মাথায় আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে চার্জশিট দিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। প্রায় ৫০ জন সাক্ষীর বয়ানকে সামনে রেখে কুন্তল, তাপস ও তাদের সহযোগী নীলাদ্রী ঘোষের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ এনেছে সিবিআই৷ তদন্তে নেমে সিবিআই কর্তারা জানতে পেরেছেন যে, এই তিন অভিযুক্তর মধ্যে ১০ কোটির বেশি আর্থিক লেনদেন হয়েছে। এর সমস্তটাই চার্জশিটে উল্লেখ করেছে সিবিআই৷ অযোগ্য প্রার্থীদের কাছে চাকরি বিক্রি করেই এই বিপুল টাকা তোলা হয়েছিল বলে চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে৷ তদন্তে নেমে কুন্তল ও তাপসের মধ্যে যোগসূত্রও খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা৷ সাক্ষীদের বয়ান থেকে কোটি কোটি টাকার আর্থিক লেনদেনের তথ্য উঠে এসেছে সিবিআইয়ের হাতে৷ 

অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দিতে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একাধিক ঘনিষ্ঠ ও বেশকিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে কুন্তল ঘোষের যোগসূচত্র খুঁজে পেয়ছে সিবিআই৷ এমনকি তিনি এজেন্ট মারফত চাকরি বিক্রির টাকা পৌঁছে দিয়েছিলেন বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই সপ্তাহ খানেক আগে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায় সিবিআই। এর মধ্যে রয়েছেন সুজয় ভদ্র, কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর পার্থ সরকারের মতো ব্যক্তিরা। শুধু সিবিআই নয়, ইডির চার্জশিটেও কুন্তলের আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে৷