শুভেন্দু ‘অমাবস্যার চাঁদ’,‘লোডশেডিং বিধায়ক’! ‘গ্যারেজ’ মন্তব্যের পাল্টা চন্দ্রিমা-সায়ন্তিকার

শুভেন্দু ‘অমাবস্যার চাঁদ’,‘লোডশেডিং বিধায়ক’! ‘গ্যারেজ’ মন্তব্যের পাল্টা চন্দ্রিমা-সায়ন্তিকার

কলকাতা: রাজনৈতিক নেতাদের বাকযুদ্ধে সরগরম নন্দীগ্রাম দিবস৷ এদিন সকালে নাম না করেই তৃণমূলকে নিশানা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ সুর চড়িয়ে বলেন, ”পিসি-ভাইপোকে গ্যারেজ করে দেব। ভাইপো বাইরে নয়, ভিতরে থাকবে।” এর পরেই তাঁকে পাল্টা দেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য৷ বেঁধেন ‘অমাবস্যার চাঁদ’ বলে৷

আরও পড়ুন- কোটি কোটির সম্পত্তি! নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত এই নেতাদের পুঁজি দেখলে চোখ কপালে উঠবে

মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় ভাঙাবেড়া ব্রিজের কাছে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে গেরুয়া শিবিরকে একহাত নেন চন্দ্রিমা৷ তিনি বলেন, ভারতের রাজনীতিতে বিজেপিকে ‘শহিদ’ করতে হবে। সেই দলকে ভারতীয় রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে৷ ওই কর্মসূচি থেকেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ‘অমাবস্যার চাঁদ’ বলেও কটাক্ষ করেন চন্দ্রিমা।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ এই ভাঙাবেড়া ব্রিজের কাছেই পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ১৪ জন সদস্যের। এই ঘটনার পর থেকেই এই দিনটি ‘শহিদ দিবস’ হিসাবে পালন করে আসছেন শুভেন্দু। তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই নন্দীগ্রামে পৃথক কর্মসূচি পালন করা শুরু করে তৃণমূলও। ওই ব্রিজের কাছে একটি শহিদ বেদিও রয়েছে। শুভেন্দুর তৈরি শহিদ বেদিটি রয়েছে গোকুলনগরে। 

মঙ্গলবার সকালে সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন শুভেন্দু৷ তাঁদের ‘একেবারে গ্যারেজ’ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বিরোধী দলনেতা৷ শুভেন্দুর সভা শেষ হওয়ার পর সেখান থেকে মাত্র ৩০০ মিটার দূরে ভাঙাবেড়া ব্রিজের কাছে তৃণমূলের  কর্মসূচিতে যোগ দেন চন্দ্রিমা, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌমেন মহাপাত্র, অখিল গিরি-সহ তৃণমূলের অন্য নেতৃত্বরা।

সেই কর্মসূচি থেকেই পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে চন্দ্রিমা বলেন, ‘‘আমরা রক্তাক্ত খেলা খেলব না। কিন্তু ওই রাজনৈতিক দলকে ভারতের রাজনীতিতে শহিদ করে ছাড়ব৷ এখানে এক জন ছিলেন। সেই ছেলেটির নাম যেন কি? শুভ ইন্দু (চাঁদ) নয়, উনি আসলে অমাবস্যার চাঁদ। ওঁর নামে অন্ধকার ছাড়া কিছুই নেই। এক জন ভুঁইফোড় বিজেপি নেতা। যাঁদের হাত শহিদদের রক্তে রাঙা তাঁদের হাত ধরেই গোকুলনগরে শহিদ দিবস করতে গিয়েছেন।’’

এদিন শুভেন্দুকে মিরজাফর বলে আক্রমণ শানান অভিনেত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী সায়ন্তিকা। তিনি বলেন, “অনেক মিরজাফরের মুখোশ খুলে গিয়েছে। তৃণমূল এখন আর দুধ দিয়ে কালসাপ পোষে না৷ মুসলিম পরিবারে কেউ জন্মালে যেমন তার নাম মিরজাফর রাখা হয় না, তেমনই হিন্দু পরিবারে পুত্রসন্তান জন্মালে তার নাম শুভেন্দু রাখা হয় না। নন্দীগ্রামের মানুষ জানেন উনি লোডশেডিং বিধায়ক। এত পাপ করেছেন সেই পাপ ধোয়া যাবে না।’’