নিউইয়র্ক: করোনা নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা বিশ্বে। মৃত্যু ছাড়িয়েছে ২১ হাজারেরও বেশি। আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক লক্ষ। সারা বিশ্ব যখন কোভিড ১৯-এর জেরে ক্ষতির মুখে পড়ছে, তখনও এই বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনায় নারাজ চিন। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চিন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, করোনা ভাইরাস মহামারী নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই৷ ফলে, আলোচনার কোনও প্রয়োজন নেই৷ করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে চিনের এই অবস্থান ঘিরে জল্পনা দানা বাঁধছে৷ প্রশ্ন উঠছে, কনোনা নিয়ে কি কোনও তথ্য গোপনের মরিয়া চেষ্টা করছে চিন?
সূত্রের খবর, চীনের সঙ্গে সঙ্গে অন্য কয়েকটি দেশ করোনা সংক্রান্ত আলোচনা করতে চায়নি রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে৷ চিনের পাশে দাঁড়িয়ে রাশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা৷ তারা জানিয়েছে, কোভিড ১৯ সংক্রমণের সঙ্গে বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার কোনও সরাসরি সম্পর্ক নেই৷ সেই মন্তব্যের নিরিখে প্রস্তাবিত আলোচনা বাতিল করে পুরো বিষয়টিকে 'স্বচ্ছ' বলে ব্যাখ্যা করেছে চিন৷ আর সেই প্রসঙ্গেই কানাঘুষো জল্পনা শোনা যাচ্ছে৷
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ভাইরাসটির উৎপত্তি চিনেই হয়েছে, সেটি প্রসঙ্গে কোনও তথ্য গোপন করছে না তো চীন? এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও চিনের বিরুদ্ধে গোটা বিশ্বকে বোকা বানাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন৷ তাছাড়া অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, রাষ্ট্রপুঞ্জের চলতি মাসের সভাপতিত্ব করছে চিন৷ সাধারণত সভাপতি ঠিক করেন, বৈঠকে কোন বিষয় আলোচনা হবে এবং কোন বিষয় আলোচনা হবে না৷ যদিও এপ্রিল মাসে স্থায়ী সদস্যের মধ্যে অন্য কোনও দেশ সভাপতি পদে বসবে৷ সভাপতি পরিনর্তন হলেই যে নিরাপত্তা পরিষদে করোনা নিয়ে আলোচনা হবে, তা নিয়েও সংশয় থেকেই যাচ্ছে৷ কারণ, স্থায়ী সদস্য হিসেবে চিন তখন তার ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে করোনা নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব ভেস্তে দিতে পারে৷
ভোটে দিয়ে প্রস্তাব বানচাল করে দেওয়া পাশাপাশি পরিষদের স্থায়ী দুই সদস্য দেশকে ‘বন্ধু’ পাতিয়েছে চিন৷ চিনের পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা৷ নিরাপত্তা পরিষদে করোনা আলোচনা তুলতে না চাওয়া বিষয়ে চিনকে সমর্থন দিচ্ছে রাশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা৷ ফলে, আদৌ করোনা নিয়ে কোনও আলোচনা হবে কি না, তা নিয়েও তৈরি হচ্ছে জল্পনা৷ কেননা, চিনের সঙ্গে ওই দু'দেশের বিশেষ ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে৷ স্বাভাবিকভাবেই রাশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাহায্য নিয়েই চিন করোনা সংক্রান্ত আলোচনায় নারাজ বলে অভিযোগ উঠছে৷