এনআরএসে আত্মঘাতী করোনা রোগী! কারণ নিয়ে ধন্দে পুলিশ

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর পর থেকেই মনমরা হয়ে থাকতেন রাজকুমার। রবিবার সকালে রাজকুমারকে অনেকক্ষণ দেখতে না পেয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁর খোঁজ শুরু করেন। তখনই একজন লক্ষ্য করেন যে, রাজকুমারের বেড সংলগ্ন বাথরুমে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। সেই দরজা ভেঙে রাজকুমারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন তাঁরা।

কলকাতা: করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে এখনও পর্যন্ত দেশে বেশ কয়েকজন আত্মহত্যা করেছে। এবার চিকিৎসা চলাকালীন করোনা ওয়ার্ডেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের করোনা চিকিৎসার বিল্ডিংয়ে। রবিবার সকালে হঠাৎই ওয়ার্ডে থাকা কর্মীরা দেখেন, ওয়ার্ডের মধ্যেই বাথরুমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক কোভিড আক্রান্ত চিকিৎসাধীন রোগী। এই ঘটনার পরেই তাঁরা খবর দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। পরে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। যদিও করোনা নাকি অন্য কারণে এই আত্মহত্যা তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই রোগীর নাম রাজকুমার বেরা, তিনি কাকদ্বীপের বাসিন্দা। ৩৮ বছর বয়সি রাজকুমার অনেক দিন ধরেই রক্তের একাধিক সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল এনআরএসের হেমাটোলজি বিভাগে। কিন্তু এর মাঝেই করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ায় তাঁকে চিকিৎসার জন্য কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। আর এসবের মধ্যেই রবিবার সকালে বাথরুমের মধ্যে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন ওয়ার্ড কর্মীরা। এর আগে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক রোগী আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের তৎপরতায় তা সফল হয়নি। 

২৬ আগস্ট থেকে এনআরএস হাসপাতালের তিনতলায় হেমাটোলজি বিভাগে ভর্তি ছিলেন রাজকুমার। কয়েকদিন পরেই তাঁর জ্বর হয়। সঙ্গে ছিল শ্বাসকষ্টও। করোনা পরীক্ষা করানো হলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর পর থেকেই মনমরা হয়ে থাকতেন রাজকুমার। রবিবার সকালে রাজকুমারকে অনেকক্ষণ দেখতে না পেয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁর খোঁজ শুরু করেন। তখনই একজন লক্ষ্য করেন যে, রাজকুমারের বেড সংলগ্ন বাথরুমে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। সেই দরজা ভেঙে রাজকুমারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন তাঁরা। পুলিশকে খবর দিলে তারা হাসপাতালে এসে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়। কাকদ্বীপে রোগীর পরিবারকে এই ঘটনার খবর জানানো হয়েছে।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − six =