বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত গুজরাত, মৃত অন্তত দুই, ঝড় এগোচ্ছে রাজস্থানের দিকে

বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত গুজরাত, মৃত অন্তত দুই, ঝড় এগোচ্ছে রাজস্থানের দিকে

কলকাতা:  বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুজরাত উপকূলে আছড়ে পড়েছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। ল্যান্ডফল হতেই শুরু প্রবল ঝড়-বৃষ্টি। ১২০ কিলোমিটারেরও বেশি তীব্র বেগে ঝোড়ো হাওয়ায় ছিন্নভিন্ন গুজরাতের বিস্তীর্ণ এলাকা। মৌসম ভবন জানাচ্ছে, ল্যান্ডফলের পরে কিছুটা শক্তিক্ষয় হয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ের৷ অতি তীব্র থেকে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে বিপর্যয়। আজ, শুক্রবার, দুপুর ১২টার মধ্যে আরও শক্তি হারিয়ে এটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার৷ আপাতত রাজস্থানের দিকে এগিয়ে চলেছে বিপর্যয়৷ 

জানা গিয়েছে, বিপর্যয়ের আঘাতে গুজরাতে অন্তত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা ভাবনগরের বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে৷ ঝড়ের ধাক্কায় উপরে পড়েছে ৬০০-র বেশি গাছ৷ ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি৷ অন্ধকারে ডুবে উপকূলের ৯৪০টি গ্রাম৷ সৌরাষ্ট্র এবং কচ্ছ উপকূলে রাতভর ভারী বৃষ্টি হয়েছে। আহতের সংখ্যা প্রায় ২২৷ ঝড়ে মৃত্যু হয়েছে ২৩টি পশুর। বৃহস্পতিবার রাতেই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন তিনি৷

শুক্রবার রাজস্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ঝড়ের জেরে তিন দিন ধরে বিচ্ছিন্নভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। বারমের এবং জালোরের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে জোধপুর এবং উদয়পুরেও। 

এদিকে, পাকিস্তানের করাচিতেও ঝড়ের প্রভাব পড়বে। গত দু’দিন ধরেই সেখানে নাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। বইছে ঝোড়ো হাওয়া। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ পাকিস্তানের বাণিজ্যিক রাজধানীর অধিকাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ নেই।