ধূপগুড়ি: মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে রাজ্যের একটিমাত্র বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। ধূপগুড়ি কেন্দ্রের উপনির্বাচন সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করাটা কিন্তু কমিশনের কাছে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের৷ কারণ, ধূপগুড়ি বিধানসভা অঞ্চলের অন্তর্বর্তী জঙ্গল এলাকায় ভোট চলাকালীন বন্যপ্রাণীদের হামলা একটা বড় আতঙ্কের কারণ৷ সেই সমস্যা মোকাবিলায় বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন। এর জন্য বনদফতরের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে কাজ করেছে তারা৷ ভোটকেন্দ্র, ভোটকর্মী ও ভোটারদের জন্য অতিরিক্ত বনকর্মী মোতায়েন করা হয়েছ। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই ভোট গ্রহণ হয়েছে৷ বানারহাট জঙ্গল এলাকার সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলিতে দেখা গিয়ছে ভোটারদের লম্বা লাইন। হাতি, চিতাবাঘের মতো বন্যপ্রাণীর ভয় দূরে সরিয়ে রেখেই মানুষ হয়েছে গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসবে।
ধূপগুড়ির জঙ্গল এলাকায় বেশ কয়েকটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে আবার রয়েছে হাতিদের করিডর। সোমবারই বনদফতরের কর্মীরা ভোটকর্মীদের এসকর্ট করে জঙ্গল এলাকায় থাকা ভোট গ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে পৌঁছে দিয়েছেন। আর গোটা বিষয়টি নিজে তদারকি করেছেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা। বন্যপ্রাণীদের হামলায় যাতে কোনও ভাবেই ভোটগ্রহণ ব্যাহত না হয়, তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে বনদফরের কর্মীদের কর্মযজ্ঞে সামিল করেছেন জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। রাত পর্যন্ত ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে বাড়তি নজর রাখা হয়েছে৷ সংলগ্ন জঙ্গল থেকে হাতি কিংবা অন্য কোনও হিংস্র বন্যপ্রাণী যাতে হামলা চালাতে না পারে, সে দিকে কড়া নজর রাখা হয়েছে৷