কেষ্টর দাক্ষিণ্যে চাকরি হয়েছিল কতজনের? নতুন করে তদন্তে নামল ইডি

কেষ্টর দাক্ষিণ্যে চাকরি হয়েছিল কতজনের? নতুন করে তদন্তে নামল ইডি

কলকাতা: গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের বর্তমান ঠিকানা আসানসোল সংশোধনাগার৷ তাঁকে নয়াদিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (‌ইডি)‌। এই পরিস্থিতিতে অনুব্রতর বিরুদ্ধে শুরু হল নতুন করে তদন্ত৷ অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরে কতজন স্কুল-সহ অন্যান্য সরকারি দফতরে চাকরি পেয়েছেন তা জানতে নতুন করে তদন্ত শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার পাশাপাশি এর বিনিময়ে তিনি কত টাকা নিয়েছিলেন, সেটাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী অফিসাররা৷ 

আরও পড়ুন- নিয়োগ দুর্নীতির টাকা লুকানো আমবাগানে! ED-র নজরে মানিকের আরও কয়েক কোটির সম্পত্তি

কোন কোন বিষয়গুলি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইডি?  সূত্রের খবর, মেধা তালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও চাকরি পেয়েছেন, এমন বেশ কয়েকজন প্রার্থীর নামের তালিকা ইডি’র হাতে এসেছে। শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমেও ইডি জানতে পেরেছে, প্রতিটি জেলা থেকেই প্রার্থীদের নামের তালিকা এসেছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। নামের সুপারিশ এসেছিল বীরভূম জেলা থেকেও। সেই তালিকা হাতে নিয়েই তদন্ত শুরু করেছে ইডি৷ 

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের সম্মতি নিয়েই নাকি ওই নামের তালিকা তৈরি করে পাঠানো হয়েছিল তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে৷ তাঁর মনোনীত প্রার্থীরা সকলেই স্কুলে চাকরি পেয়ে যান। অথচ তাঁদের মধ্যে কারোরই মেধা তালিকায় নাম ছিল না। শুধু শিক্ষক পদেই নয়, স্কুলে গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি পদেও বীরভূম জেলার অনেক প্রার্থী কেষ্ট মারফত চাকরি পেয়েছেন। স্কুল ছাড়াও আর কোন কোন সরকারি দফতরে নিয়োগের ক্ষেত্রে তৃণমূলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা তাঁর প্রভাব খাটিয়েছিলেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও জানা গিয়েছে, বীরভূম, বর্ধমান–সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এমন অনেকেই আছেন যাঁরা এখনও কর্মরত। তাঁদেক চাকরি পাইয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন অনুব্রতর৷ দাবি ইডির।