গরু পাচারের বিপুল টাকা কোথায়? অনুব্রতকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে জানতে চায় ইডি

গরু পাচারের বিপুল টাকা কোথায়? অনুব্রতকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে জানতে চায় ইডি

নয়াদিল্লি: গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাত্রা নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি৷ মঙ্গলবার রাতে দিল্লি পৌঁছনোর পর মধ্যরাতে ঘটল চরম নাটক৷ গভীর রাতে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের বিচারক নির্দেশ দিলেন, আগামী ১০ মার্চ পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হেফাজতেই থাকবেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। 

আরও পড়ুন- গুরুত্বপূর্ণ পদ গেল ফিরহাদের, কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত, জল্পনা

গত বছর অগাস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত৷ নভেম্বর মাসে তাঁকে হেফাজতে নেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কিন্তু এখনও উদ্ধার হয়নি গরু পাচারের বিপুল টাকা৷ সেই টাকা কোথায় গেল, তা জানতেই দিল্লিতে নিজেদের হেফাজতে রেখে এ বার কেষ্টকে জেরা করতে চায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। 

সেই মর্মেই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের বিচারকের কাছে তারা অনুব্রতকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর জন্য আর্জি জানিয়েছিল। কিন্তু বিচারক রাকেশ কুমার দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর অনুব্রতকে ৩ দিনের জন্য ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ১০ মার্চ অনুব্রতকে আদালতে নিয়ে আসবে ইডি। এই তিন দিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গরু পাচারের বিপুল টাকা কোথায় গিয়েছে, তা জেরা করে কেষ্টর কাছ থেকে জানার চেষ্টা করবে। আদালতে এমনটাই দাবি করেছেন ইডির আইনজীবী।

মঙ্গলবার রাতে দিল্লি পৌঁছানোর পর গভীর রাতে বীরভূমের কেষ্টকে নিয়ে বিচারক রাকেশ কুমারের বাড়িতে হাজির হন ইডি আধিকারিকেরা। সেখানে অনুব্রতর সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবীও। রাত ১টার পর সওয়াল জবাব শুরু হয়৷ ইডির আইনজীবী জানান, গরু পাচারের বিপুল টাকা কোথায় গিয়েছে, কারা কারা সেই টাকার ভাগ পেয়েছে, তা জানতে অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করার প্রয়োজন রয়েছে। পাল্টা অনুব্রতের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল অসুস্থ৷ তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই বিচারক নির্দেশ দেন, আগামী ১০ তারিখ পর্যন্ত অনুব্রতকে ইডি হেফাজতেই রাখতে হবে। এই সময় প্রত্যেক দিন হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে হবে। প্রতি দিন তাঁর আইনজীবীরাও আধঘণ্টার জন্য অনুব্রতের সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে পারবেন।