কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে তুলকালাম৷ মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ জানান বিরোধীরা৷ সেই অভিযোগেই মামলা হয় হাই কোর্টে৷ আদালত সাফ জানায়, যাঁরা মনোনয়ন দিতে পারেননি তাঁদের এসকর্ট করে নিয়ে যেতে হবে পুলিশকে৷ সেই নির্দেশের পরেও বহু প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি৷ কত পুলিশ ছিল, পুলিশ কী করছিল? এবার প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা তাঁর নির্দেশে বলেন, মনোনয়ন পর্বে অশান্তির ঘটনায় কত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই রিপোর্ট দিতে হবে রাজ্যকে। সংশ্লিষ্ট সব থানা এলাকা এবং বিডিও অফিসের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আদালতে দিতে হবে পুলিশকে। এই ঘটনায় ১০ দিনের মধ্যে হলফনামা দিতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যকে। একই সঙ্গে বসিরহাট মহকুমা এলাকার সব থানার ওসিকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, অভিযোগ পেলেই পদক্ষেপ করতে হবে।
এর পরেই তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘রাজ্যপাল এক জন শিক্ষিত মানুষ। তিনি অনেক বই প্রকাশ করেছেন। তিনি ইতিহাসকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। সাধুবাদ জানাই। কিন্তু, রাজভবনের এই অনুষ্ঠানের বিল রাজ্য সরকার ছাড়বে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এই অনুষ্ঠানের বিল হয়তো রাজ্যপালকে নিজের বেতন থেকেই দিতে হবে।’’
পাল্টা তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘রাজ্যপাল যে ভাবে বাংলার ঐতিহ্য ধ্বংস করে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন করেছেন, তা মানা যায় না। এর তীব্র বিরোধিতা করছি। বাংলার ইতিহাস এবং মানুষকে অপমান করার পর এখানে রাজ্যপাল হিসাবে থাকার কোনও নৈতিক অধিকার আনন্দ বোসের নেই।’’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>