কলকাতা: তিন বছরের প্রশিক্ষণে ডিপ্লোমা ডাক্তার তৈরি করা নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি৷ এই বিষয়ে এবার নিজেদের মত জানাল রাজ্যের তৈরি বিশেষজ্ঞ কমিটি৷ তাদের মতে, তিন বছরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সরাসরি চিকিৎসক হিসাবে চিহ্নিত করা সঠিক হবে না। তবে রাজ্যের প্রান্তিক স্তরে চিকিৎসা পরিষেবা আরও বেশি করে পৌঁছে দিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সহায়ক তৈরি করা যেতে পারে৷
তিন বছরের প্রশিক্ষণে ডিপ্লোমা ডাক্তার তৈরির বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরকে বিবেচনা করে দেখতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরেই ১৫ জনের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়। সোমবার ছিল সেই কমিটির প্রথম বৈঠক৷ সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে কমিটির প্রত্যেক সদস্য একবাক্যে সহমত পোষণ করে যে, কোনও ভাবেই ‘ডিপ্লোমা ডাক্তার’ শব্দবন্ধের উল্লেখ করা ঠিক হবে না।
তাঁরা মনে করেন, তুল্যমূল্যে ডাক্তারের সমকক্ষ হবে এমন কোনও পদ তৈরি করা যাবে না। তবে গ্রামাঞ্চলের প্রান্তিক স্তরে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসার মাঝামাঝি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সহায়ক হিসাবে কাজ করতে পারেন এই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা৷ যাঁদের ‘হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার’ বলে অভিহিত করা যেতে পারে। ওই কমিটি গঠনের জন্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে যে বিজ্ঞপ্তিত জারি করা হয়েছিল, সেখানেও কিন্তু ‘ডিপ্লোমা ডাক্তার’ শব্দবন্ধ উল্লেখ করা হয়নি। বদলে লেখা হয়েছিল ‘হেল্থ কেয়ার প্রফেশনাল’ বা ‘স্বাস্থ্যক্ষেত্রে পেশাদার’ কথাটি৷
এদিকে, গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিষেবার সহায়তায় রাজ্যে ইতিমধ্যেই অভিজ্ঞ নার্স, আয়ুষ চিকিৎসক, গ্রামীণ স্বাস্থ্য সহায়কেরা রয়েছেন। তাঁদের উন্নত কোনও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, না কি নতুন পদ তৈরি করা হবে— তা এখনও নিশ্চিত ন৷ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সহায়ক পদ চালু হলে তাঁদের প্রশিক্ষণ বা কাজ কী হবে, তাও এদিনের বৈঠকে স্পষ্ট হয়নি।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>