বর্ষা আসার আগেই চাহিদা তুঙ্গে, চড়া দামে হিমঘরের ইলিশেই রসনা তৃপ্তি বাঙালির

বর্ষা আসার আগেই চাহিদা তুঙ্গে, চড়া দামে হিমঘরের ইলিশেই রসনা তৃপ্তি বাঙালির

কলকাতা: দোরগোড়া বর্ষা৷ আর বৃষ্টি পড়লেই বাঙালির মন ইলিশ ইলিশ করে৷ বাজারে ঢুকলেই চোখ থাকে রুপোলি শস্যের সন্ধানে৷ তবে ইলিশ বাজারে আগুন৷ ওজন এক কিলোর বেশি হলেই ইলিশের দাম হাজার টাকা ছাড়াচ্ছে। যতই হোক না হিমঘরের। তবুও সে দামি৷ কিন্তু হাত দিলেই ছ্যাঁকা।

উচ্চবিত্তদের নাগালের মধ্যে থাকলেও, মধ্য ও নিম্নবিত্তদের হেঁশেলে এখনই ঢুকছে না প্রিয় মাছ। রবিবার ছুটির দিনে পাতে ইলিশ রাখার ইচ্ছা থাকলেও অনেকের পক্ষেই তা সম্ভব হয়নি৷ দক্ষিণের লেক মার্কেট থেকে গড়িয়াহাট, বাঘাযতীন থেকে গড়িয়া, উত্তরের মানিকতলা থেকে হাতিবাগান। ছাতুবাবুর বাজার থেকে সুকিয়া স্ট্রিট, কিংবা উত্তর শহরতলির সল্টলেক থেকে বরানগর, সর্বত্রই ইলিশের দামে ছ্যাঁকা৷  বাঘাযতীন বাজারের ১৪০০ টাকা কিলো দরে বিকানো ইলিশ কিন্তু বাংলাদেশের৷ তবে তা হিমঘরের। সেখানেই ডায়মন্ডহারবার আর নামখানার ইলিশের দর উঠেছে ৮০০ টাকা কেজি। আবার লেক মার্কেটের এক ব্যবসায়ী জানালেন, ইলিশ হিমঘরের হলেও স্বাদে খাসা। মজুতও আছে অনেক। কিন্তু এই গরমে খুব একটা বিক্রি হচ্ছে না। বৃষ্টি পড়লেই চাহিদা বড়াবে৷  ইলিশ ছেয়েছে গড়িয়াহাটের বাজারেও৷ সেখানে দু-আড়াই কিলো ওজনের মাছ বিক্রি হচ্ছে কিলো প্রতি ২০০০ টাকায়৷ এক ব্যবসায়ী বললেন, ৭০০-৮০০ গ্রাম ৮০০ টাকা কেজি, এক কেজি সাইজের মাছ ১২০০ টাকা এবং দেড় কিলো সাইজ হলে ১৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই মাছ৷  

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে এখন মাছ এখন আমদানি করা হয় না। পুজোর আগে সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ বাংলাদেশের ইলিশ ঢুকবে বঙ্গের বাজারে। গত বছর ২০০০ টন মাছ এসেছিল৷ তেমনটাই জানাচ্ছেন রাজ্যের ফিস ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (হিলসা)-এর সভাপতি অতুলচন্দ্র দাস৷