তিরুবনন্তপুরম: প্রেম মানে না কোনও মানা৷ সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় একটি ভিডিয়ো৷ তাতে দেখা যায় বিয়ের মণ্ডপ থেকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এক তরুণীকে৷ পুলিশ জানায় আদালতের নির্দেশেই এই কাজ করেছে তাঁরা৷ কিন্তু কেন বিয়ের আসর থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হল কনেকে? নেপথ্যে সেই ধর্মীয় গোঁড়ামি৷ জনা গিয়েছে পাত্র হিন্দু হলেও পাত্রী মুসলিম তাই এই পদক্ষেপ৷ যদিও ভালোবাসার প্রতি টান আর তরুণ প্রজন্মের জেদের কাছে চৌচির ধর্মের বেড়াজাল৷ সমস্ত বাঁধা অতিক্রম করে মঙ্গলবার গাঁটছড়া বাঁধলেন তাঁরা৷
অনেক দিন ধরেই তাঁরা সম্পর্কে ছিলেন৷ সম্প্রতি বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন বছর আঠারোর তরুণী আলফিয়া এবং একুশ বছরের অখিল। গত ১৭ জুন তিরুবন্তপুরমের একটি মন্দিরে বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিয়ের আনুষ্ঠান তখন শুরু হয়ে গিয়েছে৷ আচমকা মণ্ডপে হাজির পুলিশকর্মী। তার পর ওই তরুণীকে টানতে টানতে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যান। জানা গিয়েছে, অখিল এবং আলফিয়ার বিয়েতে রাজি ছিলেন না দুই পরিবারই। তরুণীর পরিবার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে৷ বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসা আলফিয়া ১৬ জুন পুলিশকে জানান, তিনি প্রাপ্তবয়স্ক এবং স্বেচ্ছায় অখিলকে বিয়ে করতে চান৷
পুলিশ তাঁকে বিয়ের আসর তুলে নিয়ে যাওয়ার পর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও একই কথা বলেন আলফিয়া। অন্যদিকে পুলিশের দাবি, তাঁরা শুধু কর্তব্য পালন করেছেন৷ ওই নিয়ে শুরপ জোর বিতর্ক৷ সব শেষে মঙ্গলবার যাবতীয় সামাজিক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে বিয়ে করেছেন আলফিয়া ও অখিল।