কেন খাবার ফেলে উঠে গিয়েছিলেন তিনি? জবাব দিলেন শতাব্দী

কেন খাবার ফেলে উঠে গিয়েছিলেন তিনি? জবাব দিলেন শতাব্দী

 কলকাতা: খেতে বসেছিলেন৷ কিন্তু, ‘না খেয়ে’ শুধু পোজ দিয়েই উঠে গিয়েছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়৷ যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। শনিবার কলকাতার ডেকার্স লেনে পোলাও ও লেমন ফিশ খেতে খেতে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় বললেন, ‘‘সাংবাদিকদের পোজ দিতে গিয়ে আমার বদনাম হল।’’ সেই সময় তাঁর পাশে ছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ৷ 

আরও পড়ুন- ‘প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে মমতার’‌: অমর্ত্য সেনা

গতকাল ‘দিদির দূত’ প্রকল্পের কর্মসূচি নিয়ে রামপুরহাটে গিয়েছিলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। সেখানে দেখা যায়, একটি বাড়ির উঠোনে খাবারের থালার সামনে বসে রয়েছেন তিনি৷ কিন্তু , তিনি খানননি, উঠে যান পোজ দিয়ে৷ এই ঘটনায় খড়্গহস্ত বিজেপি-সহ বিরোধীরা৷ তীব্র সমালোচনা করে তাদের বক্তব্য, শতাব্দী নাটক করতে গিয়েছিলেন। গরিব মানুষের বাড়িতে খাওয়ার অভ্যেস নেই ওঁর। উনি শুধু ছবি তোলার জন্য থালার সামনে বসেছিলেন৷ শতাব্দীর মুখেও এদিন শোনা যায়, তাঁকে পোজ দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তার আগের ঘটনাগুলো কেউ বলছে না৷ 

এদিন অভিনেত্রী সাংসদ বলেন, ‘‘এই ঘটনার আগে আমি ওই বাড়িতে বসেই খেয়েছি। যখন খেয়েছি তখন সাংবাদিকরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। তাঁরা অন্য একটা জায়গায় বসে খাচ্ছিলেন। আমি যখন হাত ধুয়ে বেড়িয়ে যাচ্ছি তখন সাংবাদিক ও আইপ্যাকের লোকেরা আমায় বলেন, দিদি, ছবিটা হয়নি, আর একবার একটু বসুন না।’

শতাব্দী এও বলেন, ‘‘সাংবাদিকদের কথা পোজ দিতে গিয়ে আমার বদনাম হল।’ তাঁর কথায়, ‘১৪ বছর ধরে আমি সাংসদ। কর্মীদের বাড়িতেই খাই। এটা আমার কাছে নতুন কিছু নয়।’ শতাব্দীর বক্তব্য, কালকে অর্ধসত্য নিয়ে বিকৃত সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছিল।