নিজস্ব প্রতিনিধি: সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসবাদী ইস্যুতে ফের ভারতের নিশানায় পাকিস্তান। নাম না করে রাষ্ট্র সংঘের মঞ্চ থেকে ইসলামাবাদকে কড়া বার্তা দিল ভারত। আর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত যে সবসময় ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করে, সেটা আরও একবার স্পষ্ট করল নয়াদিল্লি। সেই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীরা এত গোলা বারুদ পাচ্ছে কোথা থেকে, সেই প্রশ্নও তুলল ভারত। রাষ্ট্র সংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্য রাখার সময় শুক্রবার এ বিষয়ে সরব হয়েছেন ভারতের প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ। রুচিরা বলেন, “জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির হাতে নানাভাবে পৌছে যাচ্ছে ছোট বড় অস্ত্র। সকলেই জানেন এগুলি না পেলে তারা সন্ত্রাস চালাতে পারবে না। তাই তাদের হাতে যাতে অস্ত্র না পৌঁছয় তা নিশ্চিত করতে হবে সব দেশকে। এ ব্যাপারে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।” রুচিরার স্পষ্ট বার্তা, শুধু সন্ত্রাসবাদীরা নয়, যে সমস্ত দেশ লাগাতার সন্ত্রাসে মদত দিয়ে চলেছে, তাদের বিরুদ্ধেও জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে সবাইকে।
রুচিরার কথায়, জঙ্গিদের হাতে যেভাবে গোলা বারুদ ও মারাত্মক অস্ত্র পৌঁছে যাচ্ছে, তার জেরে সীমান্তে বারবার সন্ত্রাস ও হিংসার শিকার হতে হয়েছে ভারতকে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,”বিগত কয়েক দশক ধরে সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ভারত লড়াই চালিয়ে আসছে। সন্ত্রাসবাদের কারণে আমরা সীমান্ত এলাকায় অসম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। অস্ত্রের জোগান থাকায় জঙ্গিরা সেগুলি দিয়ে সীমান্তে হিংসা ছড়াচ্ছে। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে ড্রোনের ব্যবহার।” সেই সূত্রে রুচিরার দাবি, বেআইনি অস্ত্রের কারবার বন্ধ করতে সব দেশকে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজন। আর এটা বন্ধ করতে অস্ত্র পাচারের রুট খুঁজে বের করার উপরেও জোর দেন রুচিরা। রুচিরার বক্তব্যে এটাই স্পষ্ট, সরাসরি নাম না করে পাকিস্তানকেই তিনি নিশানা করেছেন। তাই রাষ্ট্র সংঘের মঞ্চে তিনি যেভাবে বিষয়টির উত্থাপন করলেন তার যথেষ্ট তাৎপর্য রয়েছে বলেই আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে। সদ্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে হুঙ্কার দিয়ে বলেছেন,” পিওকে (পাক অধিকৃত কাশ্মীর) হামারা হায়।” এই আবহের মধ্যে রাষ্ট্র সংঘের মঞ্চে পাকিস্তানকে ফের নিশানা করল ভারত।