কলকাতা: পবিত্র শিক্ষাঙ্গনেই যেন দুর্নীতির আঁতুর ঘর৷ দুর্নীতি করে বাবার স্কুলে চাকরি নিল প্রধানশিক্ষকের ছেলে! অভিযোগ, এক পাশ করা শিক্ষকের সুপারিশপত্র জাল করে ‘বাবার স্কুলে’ চাকরি নেন তিনি। বিষয়টি নজরে আসে অনেকেরই৷ মামলাও দায়ের হয়৷ অবশেষে ওই ‘শিক্ষক’কে স্কুলে ঢুকতে নিষেধ করার পাশাপাশি তাঁর বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। তিনি পরবর্তী শুনানির দিন সিআইডির ডিআইজিকে উপস্থিত থাকারও নির্দেশ দিয়েছেন।
ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের সুতির এক নম্বর ব্লকের৷ স্থানীয় গোথা এয়ার স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছিলেন ওই স্কুলেরই প্রধানশিক্ষকের ছেলে অনিমেষ তিওয়ারি। ‘বাবার স্কুলে’ চাকরি পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে অনেকেরই খটকা লেগেছিল৷ এ নিয়ে মামলাও দায়ের করা হয়৷ এমনকি, তথ্য জানার অধিকার আইনেও অনিমেষের নিয়োগ নিয়ে তথ্য জানতে চাওয়া হয়৷ এর পরই প্রধান শিক্ষকের পুত্রের নিয়োগ-দুর্নীতি কাণ্ড ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, অনিমেষ ওই স্কুলে দীর্ঘ দিন ধরে কর্মরত৷ কিন্তু, জেলার স্কুল পরিদর্শকের কাছে তাঁর নামে কোনও নিয়োগপত্রই নেই।
তদন্তে নেমে জানা যায়, নবম-দশম শ্রেণির এক ভুগোল শিক্ষকের নিয়োগপত্র এবং সুপারিশপত্র জাল করে অবৈধ ভাবে এই চাকরি পেয়েছেন অনিমেষ। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে, অনিমেষ যদি ওই শিক্ষকের নিয়োগপত্র জাল করে চাকরি পেয়ে থাকেন, তাহলে ওই প্রার্থীর ব্যক্তির কী হল? তিনি কি চাকরি করছেন না? পরে জানা যায়, তিনিও বহাল তবিয়তে চাকরি করছেন৷ মুর্শিদাবাদেরই বেলডাঙার একটি স্কুলে তিনি কর্মরত।
কী ভাবে নিয়োগপত্র জাল করলেন তিনি? সাধারণত প্রত্যেক নিয়োগপত্রের একটি মেমো নম্বর থাকে। অনিমেষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মেমো নম্বরটি এক রেখে নিয়োগপত্রে শুধু নিজের নাম বদলে দেন৷ সেই জাল মেমো নম্বর ব্যবহার করেই গোথা এয়ার স্কুলে ভুগোল শিক্ষক হিসাবে চাকরি পান। এদিকে, আরটিআইয়ের মাধ্যমে স্কুলের কাছে অনিমেষের নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাওয়া হলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক অর্থাৎ অনিমেষের বাবা জানান, অনিমেষ সেখানে কর্মশিক্ষার শিক্ষক।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>