কলকাতা: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের প্রাক্তন কর্মী সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র যোগ রয়েছে এমন তিনটি সংস্থায় তল্লাশি চালাল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অনুমান, ওই সংস্থাগুলির আড়ালে চলত কালো টাকা সাদা করার কাজ৷ গত শনিবার ওই সংস্থাগুলিতে তল্লাশি চালানো হয়। এর পর সোমবার সকালে ডেকে পাঠানো হল এর মধ্যে একটি সংস্থার এক আধিকারিককে৷ ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আধিকারিকের নাম অমিতকুমার কর্মকার। তাঁকে ওই সংস্থা সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কিছু নথিপত্র সঙ্গে নিয়ে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিল সিবিআই। নিজাম প্যালেসে তাঁকে যখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তখন সুজয়ের বাড়ি, ফ্ল্যাট, অফিস-সহ তাঁর সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকটি সংস্থার অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। এর আগে সুজয়ের বাড়িতে হানা দিয়ে তল্লাশি চালিয়েছিল অপর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই-ও। সে সময় সুজয়ের বাড়ি থেকে কয়েক লক্ষ টাকা এবং একটি অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার করা হয়৷ তাঁর কাছ থেকে একটি ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়৷ শনিবারের তল্লাশিতে কী কী উদ্ধার হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে সোমবার সুজয়ের যোগ রয়েছে এমন একটি সংস্থার আধিকারিককে ডেকে পাঠানো হল। ওই সংস্থার আর্থিক লেনদেন এবং টাকার উৎস রয়েছে তদন্তকারীদের স্ক্যানারে। সে ব্যাপারেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে অমিতকে।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষই প্রথম কালীঘাটের কাকুর নাম প্রকাশ্যে আনেন৷ পরে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী তাপস মণ্ডলও কালীঘাটের কাকুর নাম উল্লেখ করেন৷ তিনি জানান, কুন্তল নাকি তাঁকে আশ্বাস দিয়ে বলতেন, ‘‘কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে। চিন্তার কোনও কারণ নেই।’’ পরে গোপাল দলপতিকে জেরা করে জানা যায়, কালীঘাটের ‘কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ আসলে রাজ্যের এক প্রভাবশালী শীর্ষ নেতার সংস্থার সিইও। তার পর থেকেই ইডি-সিবিআই নজরে রয়েছেন কালীঘাটের কাকু৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>