কলকাতা: আজ বুদ্ধ পূর্ণিমা৷ সাধারণত পূর্ণিমায় রাতের আকাশে দেখা যায় উজ্জ্বল গোলাকার চাঁদ৷ তবে শুক্রবার সূর্যাস্তের পর রাতের আকাশে এক অন্য অবতারে দেখা যাবে চাঁদকে। বুদ্ধপূর্ণিমায় চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী হতে থাকবে গোটা দেশ। শুক্রবার রাতে হবে চাঁদের উপচ্ছায়া গ্রহণ। আকাশ পরিষ্কার থাকলে ভারতের বিভিন্ন শহর থেকে চন্দ্রগ্রহণ চাক্ষুস করা যাবে। তবে চাঁদের এই উপচ্ছায়া গ্রহণ ভাল ভাবে দেখতে হলে চোখ রাখতে হবে দূরবীক্ষণ যন্ত্র কিংবা টেলিস্কোপে৷
শুক্রবার রাত ৮টা ৪৪ মিনিট থেকে শুরু হবে চন্দ্রগ্রহণ। শেষ হবে মধ্যরাতে৷ অর্থাৎ ৬ মে৷ রাত ১টা ১ মিনিট পর্যন্ত চলবে গ্রহণপর্ব। তবে বিজ্ঞনীরা জানাচ্ছেন, রাত ১০টা ৫২ মিনিটে সবচেয়ে ভাল ভাবে চাক্ষুস করা যাবে। ভারতের অন্যান্য শহরের মতো কলকাতাতেও দেখা যাবে চাঁদের এই উপচ্ছায়া গ্রহণ। রাত ৮টা ৪৪ মিনিট থেকেই কলকাতার আকাশে গ্রহণ দেখতে পারবেন উৎসাহী মানুষ। রাত ১টা ১ মিনিট পর্যন্ত এই গ্রহণ দেখা যাবে।
চাঁদের এই উপচ্ছায়া গ্রহণ কী? এদিন পৃথিবীর ছায়ার বাইরের অংশের মধ্যে দিয়ে যাবে চাঁদ। ফলে চাঁদের ঔজ্জ্বল্য অনেকটাই কমে যাবে। তবে হালকা ভাবে চাঁদকে দেখা যাবে। এই বিশেষ গ্রহণকে বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় পেনুব্রাল গ্রহণ৷ কারণ, পৃথিবীর একেবারে বাইরের ছায়া পরিচিত পেনুমব্রা নামে। আর পৃথিবীর সেই আবছা ছায়া পেরিয়েই এগিয়ে যাবে চাঁদ। সূক্ষ্ম আবছায়ার কারণে খালি চোখে এই ধরনের চন্দ্রগ্রহণ দেখা বেশ কষ্টকর।
চাঁদের নিজস্ব কোনও আলো নেই৷ সূর্যের আলোয় আলোকিত হয় সে। সূর্যের আলো চাঁদের উপর পড়ে যখন তা প্রতিফলিত হয়, তখনই চাঁদকে উজ্জ্বল দেখায়। মহাজাগতিক নিয়মে সূর্য, পৃথিবী আর চাঁদ এক সরলরেখায় চলে এলে, পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ে। তখনই হয় চন্দ্রগ্রহণ। চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী একই সরলরেখায় অবস্থান করলেও এদের অবস্থানের উপর নির্ভর করে পূর্ণগ্রাস বা আংশিক (খণ্ড) গ্রাস, চন্দ্রগ্রহণ৷ শুক্রবার চন্দ্রগ্রহণ ভারতের পাশাপাশি দেখা যাবে এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, মধ্য এবং পূর্ব আফ্রিকা, আন্টার্কটিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন অংশে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>