কলকাতা: আসছে ভয়ঙ্কর এক দিন। যে ভাবে জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে অচিরেই সাগরের বুকে তলিয়ে যাবে এশিয়া মহাদেশের একাধিক শহর৷ হাতে আর বেশি সময় নেই৷ খুব জোড় ৮০ বছর। তারপরই ঘনিয়ে আসবে বিপদ৷ রেহাই পাবে না তিলোত্তমাও৷
আরও পড়ুন- দিল্লি গেলে অনুব্রতর ঠাঁই হবে তিহাড়ে, সেই জেলের ‘সিংঘম’ জেলারকে চেনেন?
বিজ্ঞানীদের একাংশের আশঙ্কা, আজ থেকে প্রায় ৮০ বছর পর জলায় তলায় তলিয়ে যাবে শহর কলকাতা৷ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই শতকে সমুদ্র স্তর বিপজ্জনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা কলকাতা সহ এশিয়া মহাদেশের বেশকিছু শহরকে বিপদের দোরগোড়ায় এনে দাঁড় করিয়েছে৷ গবেষণাপত্রে এই আশঙ্কার কথা প্রকাশ পেতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে শহরবাসী৷ যেখানে বলা হয়েছে, ২১০০ সালের মধ্যে অকল্পনীয় ঝুঁকির সম্মুখীন হতে চলেছে কলকাতা, চেন্নাই সহ সমুদ্র কূলবর্তী এশিয়ার বেশ কিছু শহর। এই গবেষণাপত্রটি নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জে প্রকাশিত হয়েছে।
এমনিতে সামান্য বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে মহানগর৷ হাঁটু সমান জলে নাজেহাল হতে হয় কলকাতার মানুষকে। পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনকে কাঠগড়ায়তোলা হলেও এর জন্য অনেকটা কিন্তু দায়ী জলবায়ুর পরিবর্তন৷ এমনটাই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। সমুদ্রস্তরের ওঠানামা মাপার জন্য বিশ্বজুড়ে যে হটস্পট বসানো হয়েছিল, তাতে দেখা গিয়েছে, সমুদ্রের জলস্তরের ওঠানামার ক্ষেত্রে ব্যাপক অসামঞ্জস্য তৈরি হয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে জলের স্তর বাড়তে শুরু করেছে৷ উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণেই গলছে বরফ৷ বরফ গলা জল স্বাভাবিকভাবেই জলস্তর বাড়িয়ে তুলছে।
জলচক্রে পরিবর্তন বা এল নিনোর মতো ঘটনাও সমুদ্র স্তরের ওঠা-নামার উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে৷ শুধু তাই নয়, ভূপৃষ্ঠের জলবায়ুর পরিবর্তনও সমুদ্রের স্তর বাড়িয়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। গবেষণায় আরও দেখা গিয়েছে, ভূপৃষ্ঠের জলবায়ু পরিবর্তনেই ফলে কিছু কিছু জায়গায় সমুদ্রের জলস্তর ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। গত কয়েক বছরে যে ভাবে কলকাতার তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বিজ্ঞানীদের কপালে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই সব শহরগুলি গ্রিন হাউস গ্যাসের ব্যবহার না কমাতে পারলে সমস্যা আরও গভীর হবে।
অন্যদিকে, মেরু বিজ্ঞানীদের গবেষণাতেও উঠে এসেছে উদ্বেগের ছবি৷ তাতে দেখা গিয়েছে, গত ৬ বছরে আন্টার্কটিক সমুদ্রের হিমবাহের স্তর তিনবার হ্রাস পেয়েছে। বিজ্ঞানীদের মনে করছেন, এই বিষয়টি যথেষ্ট চিন্তার। এই হারে আন্টার্কটিকার বরফ গলতে থাকলে সমুদ্রের জলস্তর হু হু করে বাড়তে থাকবে। যা আগামী দিনে সারা বিশ্বের জন্য বিপের সংকেত বয়ে আনবে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>