কলকাতা: একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি৷ কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে কয়েক হাজার চাকরিজীবীর৷ দুর্নীতির অভিযোগে যখন কাঠগড়ায় তৃণমূল, তখন বাম আমলের দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন শাসকদলের নেতারা৷ ইতিমধ্যেই বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর কলেজের চাকরি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শাসক দল। এই অভিযোগের কোনও কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি সুজন৷ এবার তাঁর শ্বশুরমশাইয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। একটি চিরকুট প্রকাশ্যে এনে সুজন চক্রবর্তীকে বিঁধলেন তিনি। সেই সঙ্গে চিরকূটে চাকরি নিয়ে আরও একদফা সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য–রাজনীতি।
আরও পড়ুন- ‘গান্ধী-আরউইন চুক্তি কবে হয়েছিল?’ ৫ বছরে উত্তর কমিশনের,ফের বাড়বে নম্বর
সুজন চক্রবর্তীর শ্বশুরমশাই শান্তিময় ভট্টাচার্য একসময় সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক ছিলেন৷ এর পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দায়িত্বও সামলেছেন। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল টুইটে বোমা ফাটিয়ে বলেন, ‘শান্তিময় ভট্টাচার্য দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। ওঁর আসল নাম দেবব্রত ভট্টাচার্য। হিন্দু মহাসভার কর্মী ছিলেন। একটি জটিলতা থেকে নামবদল করেন। আদালতে গিয়ে নামবদল হয়নি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি হন। শান্তিময় ভট্টাচার্য নামে কোনও সার্টিফিকেট নেই। তিনি কী ভাবে সরকারি পদে বসেছিলেন?’ কুণালের এই টুইট ঘিরে শোরগোল পড়েছে৷
দিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও। তিনি বলেন, ‘‘সুজন চক্রবর্তীরা এক সময় কমিশন বসিয়েছিলেন। খরচ হয়েছিল ৩১ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। নিট ফল জিরো। আর এখন ওঁরা বড় বড় কথা বলছে৷’’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>
