কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট বিলি নিয়ে চরমে তৃণমূলের অন্তর্কলহ৷ সংঘাত এতটাই বাড়ে যে, সরাসরি ব্লক সভাপতিকে বড় চোর বলে তোপ দাগেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার বলাগড়ের সেই তৃণমূল বিধায়কই দলের সব পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। সেইসঙ্গে এও জানান, পারলে বিধায়ক পদটাও ছেড়ে দিতেন৷ কিন্তু এখনই সেটা করতে পারছেন না৷ কারণ সেটা করলে খাবেন কী? বিধায়ক হিসাবে যে ভাতাটুকুপান তা দিয়েই যে তাঁর দু’বেলা দুমুঠো ডাল-ভাত জোটে৷ বুঝিয়ে দিয়েছেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী৷
ফেসবুক পোস্টে মনোরঞ্জন জানিয়েছে, তিনি জেলা তৃণমূলের পঞ্চায়েত নির্বাচনের কমিটির সদস্য ও রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। সেইসঙ্গে এও জানান, তিনি আগে যে চাকরি করতেন, একুশে ভোটে দাঁড়ানোর সময়ে তা ছাড়তে হয়েছিল। তারপর দু’বছর কেটে গিয়েছি৷ পঞ্চাশবার ছোটাছুটি করেও পেনশন চালু হয়নি৷ পাননি গ্র্যাচুইটির টাকাও। একবার পেনশন চালু হলেই বিধায়ক পদ ছেড়ে দেবেন বলেও জানান বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক৷
উনিশের লোকসভা ভোটের নিরিখে বলাগড় বিধানসভায় অনেকটাই পিছিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। একুশের বিধানসভায় বিজেপি’র আশা ছিল বলাগড় জিতবে। কিন্তু দলিত সাহিত্যিক মনোরঞ্জনকে প্রার্থী করে চমক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রিক্সা চালিয়ে তিনি যেভাবে প্রচার করেছিলেন, তা সাড়া ফেলেছিল এলাকায়।
কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্লক তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে তাঁর সংঘাত তীব্র হয়৷ সাফ বুঝিয়ে দেন, তিনি কোনও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবেন না। একসময়ে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও সরব ছিলেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী । জিরাট কলেজে ঢুকে শান্তনুর ছবি খুলিয়েছিলেন৷ সেই শান্তনুই এখন নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলবন্দি৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>