কলকাতা: এ যেন বাস্তবের ‘স্পেশ্যাল ২৬’৷ টানটান চিত্রনাট্য৷ সিবিআই সেজে বাড়িতে হানা৷ তারপর লক্ষ লক্ষ টাকা লুট৷ তাও আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্রে৷ হ্যাঁ, ভবানীপুর থানা থেকে ৪০০ মিটারের মধ্যে ঘটল এমন ঘটনা৷
আরও পড়ুন- ডিসেম্বর নয়, ১৩ জানুয়ারি! ফের বদলে গেল শুভেন্দুর তারিখ!
দুষ্কৃতীরা নিজেদের সিবিআই আধিকারিক বলে পরিচয় দেয়৷ তবে তাদের হাতে ছিল ডান্ডা৷ আর সেটা দেখেই খানিক ভড়কে যান ব্যবসায়ী৷ তারপর তল্লাশির নামে বাড়ি থেকে নগদ ৩০ লক্ষ টাকা ও প্রচুর সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীর দল৷ সোমবার সকালে ভবানীপুর রূপচাঁদ মুখার্জি লেনের এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷
ভবানীপুর থানা থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে ওই বাড়িতে থাকে এক সিন্ধি পরিবার। গৃহকর্তা সুরেশ ওয়াধার খাবার এবং কেমিক্যালের ব্যবসা৷ পাড়ায় সেভাবে কারও সঙ্গে মেলামেশা নেই তাঁর। এমনকী, বাড়ির দরজাও সবসময় বন্ধ থাকে। পরিচিত ছাড়া দরজা খোলাও হয় না। ওই বাড়ির নীচ তলায় থাকেন একজন বয়ষ্ক কেয়ারটেকার। তবে তাঁর বাড়িতে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা নেই৷ আশেপাশের বাড়িতে লাগানো সিসিটিভি থেকে ফুটেজ সংগ্রহ করছে পুলিশ৷
নগদ ত্রিশ লক্ষ টাকা ও প্রচুর সোনার গয়না নিয়ে সুরেশবাবুর সামনেই ‘সিজার’ লিস্ট তৈরি করা হয়। তবে সেই লিস্টের কপি তাঁকে দেওয়া হয়নি৷ এমনকী কী কারণে এই হানা, তাও জানানো হয়নি৷ সুরেশবাবু এইসব প্রশ্ন তুললে তারা বলে, ‘আমরাই আপনাকে ডেকে নেব।’ ওই ব্যবসায়ী যখন বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত, তখন ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে৷
পুলিশের অনুমান, এই ঘটনার পিছনে সুরেশবাবুর কোনও পরিচিত থাকতে পারেন৷ কারণ, ওত বড় বাড়িতে একাধিক ঘর থাকা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট ঘরে ঢুকেই তল্লাশির নামে আলমারি খোলানো হয়৷ সেখানেই টাকা ও সোনার গয়না রাখা ছিল। তাছাড়া সিবিআই-এর হাতে লাঠি থাকে না৷ মূলত ভয় দেখাতেই ওই লাঠি সঙ্গে করে আনা হয়েছিল৷ এই ঘটনার সঙ্গে একটি চক্র জড়িত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে৷ সুরেশবাবুর বাড়ির পরিচারিকাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>