নিজস্ব প্রতিনিধি: গত লোকসভা নির্বাচনে দেশ জুড়ে মাত্র তিনটি আসনে জিতেছিল সিপিএম। এর মধ্যে নিজের দমে, অর্থাৎ একার শক্তিতে লড়ে তারা শুধু কেরল থেকে একটি আসনে জিতেছিল। বাকি দুটি সিপিএম জিতেছিল তামিলনাড়ুতে ডিএমকের জোট সঙ্গী হিসেবে। বলাবাহুল্য ডিএমকে-র সঙ্গে আসন সমঝোতা না হলে সেখানে সিপিএম জিততে পারত না। ঘটনা হল গত লোকসভা নির্বাচনে কেরলে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ ২০টির মধ্যে ১৯টিতে জয়লাভ করেছিল।
সিপিএমকে মাত্র একটি আসনে জিতে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। তবে এবার ছবিটা বদলে যাবে বলে সিপিএমের দাবি। কেরলে নির্বাচনের পর দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির কাছে যে রিপোর্ট জমা পড়েছে তাতে বলা হয়েছে সেই রাজ্যে অন্তত পক্ষে ৬-৮টি আসনে এবার জিতবে সিপিএম। এছাড়া গত বারের মতো তামিলনাড়ু থেকে ডিএমকের সঙ্গে আসন সমঝোতার কারণে ফের দুটি আসনে সিপিএম জয় নিশ্চিত দেখছে। এছাড়া কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা হওয়ায় রাজস্থানে একটি আসনে জয়ের আশা করছে সিপিএম। এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রেও মহম্মদ সেলিমের জয় নিয়ে মোটের উপর নিশ্চিত তারা। সব মিলিয়ে দশটি আসন, অর্থাৎ দু অঙ্কে সিপিএম এবার পৌঁছে যাবে বলে রেড ব্রিগেড মনে করছে।
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে মাত্র গোটা পঞ্চাশ আসনে সিপিএম লড়ছে। এত কম সংখ্যায় সিপিএমকে অতীতে কোনও দিন লড়তে দেখা যায়নি। ১৯৭৭ সালে সিপিএম ৫৩টি আসনে লড়েছিল। সেটাই এতদিন সবচেয়ে কম ছিল। এবারের সংখ্যাটা তার থেকেও কয়েকটা কম। ২০১৪ সালে সিপিএম ৯৩টি আসনে লড়ে ৯টি আসনে জয় পেয়েছিল। একটি আসন কম হওয়ায় তারা দুই অঙ্কে পৌঁছতে পারেনি সেবার। আর গত লোকসভা নির্বাচনে সিপিএম ৬৯টি আসনে লড়ে জয় পেয়েছিল মাত্র তিনটিতে। তবে এবার ছবিটা বদলাবে বলে সীতারাম ইয়েচুরি-সহ শীর্ষ নেতৃত্বের আশা। যে দাবি সিপিএম করছে তা বাস্তবায়িত হয় কিনা তা অবশ্য বোঝা যাবে ৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশের দিনেই।