কলকাতা: গত শুক্রবার বেহালা চৌরাস্তা এলাকায় মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া সৌরনীল সরকারের। তাকে পিষে দিয়ে যায় মাটি বোঝাই গাড়ি৷ সাত বছরের শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বেহালার চৌরাস্তা সংলগ্ন এলাকা৷ জনরোষ ক্ষোভ প্রশমনে উঠেপড়ে লেগেছে প্রশাসন। রাস্তা চওড়া করতে ফুটপাথের দু’পাশ থেকে বেআইনি নির্মাণ এবং দোকানঘরগুলি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ যাতে জনসাধারণের চলাচলের পথ প্রশস্ত করা যায়৷ সেই লক্ষ্যে পদক্ষেপ করতেও শুরু করেছে প্রশাসনিক মহল।
সূত্রের খবর, প্রশাসনের তরফে রাস্তা চওড়া করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাতে ভাঙা পড়তে পারে ‘বেআইনি ভাবে’ নির্মিত ফুটপাথ লাগোয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘এসি রুম’। গত কয়েকদিনে কলকাতা পুলিশ এবং কলকাতা পুরসভা একযোগে বেহালার ডায়মন্ড হারবার রোডের ফুটপাথ লাগোয়া অংশে বেআইনি ভাবে তৈরি যাবতীয় নির্মাণ ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ বেহালা ম্যান্টনের কাছের ফুটপাথ ঘেঁষে রয়েছে বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বসার বাতানুকূল ঘর৷ সেটির উপর নজর রয়েছে প্রশাসনের। তার পরেই সেটি ভাঙার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে প্রশাসন।
২০০১ সালে বেহালা পশ্চিম কেন্দ্র থেকে জিতে বিধায়ক হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দু’বারের সিপিএম বিধায়ক তথা বেহালার সরশুনা এলাকার বাসিন্দা সিপিএম নেতা নির্মল মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে বেহালা শুরু হয়েছিল তাঁর রাজনৈতিক ইনিংস৷ বিধায়ক হওয়ার পরেই বেহালার ম্যান্টনে নিজের জনসংযোগ কার্যালয় তৈরি করেছিলেন পার্থ। জেলযাত্রার আগে পর্যন্ত ম্যান্টনের এই ঘরে বসেই নিজের বিধানসভা এলাকার কাজকর্ম দেখাশোনা করতেন তিনি। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পর ম্যান্টনের সেই অফিসের বাইরে ফুটপাথ লাগোয়া একটি জায়গার উপর তৈরি হয় পার্থের বসার ঘর। নিজের বিধানসভা এলাকায় এলে ওই ঘরেই বসতেন প্রাক্তন মন্ত্রী৷