যাদবপুরে পিএইচডি’তে ভর্তি নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে? চাঞ্চল্যকর অভিযোগ অপসারিত উপাচার্যের

যাদবপুরে পিএইচডি’তে ভর্তি নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে? চাঞ্চল্যকর অভিযোগ অপসারিত উপাচার্যের

phd

নিজস্ব প্রতিনিধি:  সদ্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের পদ থেকে বুদ্ধদেব সাউকে অপসারিত করেছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে শিক্ষা জগতে। এবার গুরুতর অভিযোগ আনলেন বুদ্ধদেব। তাঁর অভিযোগ যাদবপুরে পিএইচডি বিভাগে ভর্তি প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। স্কুলে স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় বহুদিন ধরেই তদন্ত করছে সিবিআই ও ইডি। এবার ছাত্রছাত্রী ভর্তি নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ উঠল রাজ্য তথা দেশের নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে। সেই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবিও করেছেন বুদ্ধদেব।

বুদ্ধদেবের অভিযোগ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি’তে ভর্তি প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। আর এই দুর্নীতির তদন্ত যাতে সিবিআই বা ইউজিসি করে সে ব্যাপারে আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস যাতে উদ্যোগ নেন সেটাও জানিয়েছেন তিনি। বুধবার বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন,”আমি যখন দুর্নীতিগুলি সরাতে চেয়েছিলাম তখন এই রকম একটা স্টেপ ( তাঁকে অপসারণ করা) কেন নেওয়া হল? আমি জানি না ওঁর (রাজ্যপাল তথা আচার্য) কাছে কি বার্তা পৌঁছেছে। আমি বলছি উনি চাইলে ইউজিসিকে দিয়ে বা সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করে দেখুন। এখানকার পিএইচডি’তে অ্যাডমিশন নিয়ে কি চলছে তা দেখুন”। সদ্য অপসারিত ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দাবি, তিনি যখন দুর্নীতির বিষয়গুলি নিয়ে নড়েচড়ে বসতে চাইছিলেন, ঠিক তখনই তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন,”পিএইচডিতে সুপার নিউমেরারি পোস্ট নিয়ে ইউজিসি’র গাইডলাইন ভাঙা হয়েছিল। আমার আগে থেকে বহুকাল ধরে সুপার নিউমেরারি নিয়ে দুর্নীতি চলছিল। ২০১৭ সালে কোনও একটি কারণবশত এটি হয়েছিল। তারপর থেকে কোনও ফর্মাল পারমিশন ছাড়া এই সুপার নিউমেরারি পোস্ট চলেছে। আমি বিষয়টি নিয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথাও বলেছিলাম। কিন্তু সেটি একটি আলোচনার জায়গায় যাওয়ার আগেই এরকম (অপসারণ) একটি ঘটনা ঘটে গেল।”  তাই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপাল তথা আচার্য কোনও পদক্ষেপ করেন কিনা সেটাই দেখার। সদ্য সমাবর্তন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক দেখা দিয়েছে। সেখানে পড়ুয়াদের হাতে যে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে তার বৈধতা আছে কিনা সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ তার আগেই রাজ্যপাল সরিয়ে দিয়েছিলেন বুদ্ধদেব সাউকে। এই পরিস্থিতিতে সদ্য অপসারিত ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ যে অভিযোগ করলেন তার অভিঘাত শিক্ষা জগতে কতটা পড়ে সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *